স্টাফ রিপোর্টার:-
বিয়ের প্রলোভনে এক নারীকে ধর্ষন এবং জোর করে ঔষধের মাধ্যমে ওই নারীর গর্ভে আসা সন্তান(ভ্রুন)কে হত্যা করার অভিযোগে নারী শিশু অপরাধা আইনে যমুনা টেলিভিশনের সাংবাদিক মাহাতাব উদ্দিন লালনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভুগী এক নারী। পিটিশন মামলা নং ১৪৮/২১। বুধবার বেলা ১১ টার দিকে কুষ্টিয়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে এই মামলা অভিযোগ দায়ের করলে, বিজ্ঞ আদালত কুষ্টিয়া মডেল থানাকে ভুক্তভুগীর অভিযোগ এজাহার হিসেবে গ্রহন করাসহ মামলাটি তদন্ত করার জন্য পিবিআইকে নিদের্শ দেন। লিখিত অভিযোগ ভুক্তভুগী ওই নারী উল্লেখ করেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যমুনা টেলিভিশনের কুষ্টিয়ার দায়িক্তে থাকা সাংবাদিক মাহাতাব উদ্দিন লালনের সাথে তার পরিচয় এবং প্রেমের সম্পর্ক তৈরী হয়। তারই জের ধরে গত আগষ্ট মাসের ১ তারিখে লালনের স্ত্রীর অনুপুস্থিতে তাকে লালনে বাসায় ডেকে নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার মতের বিরুদ্ধে তাকে ধর্ষন করে। এর পর একই ভাবে তাকে আরো কয়েকবার শারিরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করে। এতে ভুক্তভুগী নারী গর্ভবতী হয়ে পড়লে মাহাতাব উদ্দিন লালনকে সেপ্টেম্বরের ২ তারিখে এই কথা জানায়। চতুর লালন তখনই ওই নারীকে বিয়ে করার কথা বলে কুষ্টিয়ার ৫ রাস্তার মোড়ের তার কার্যালয়ে যেতে বলে। সেসময় ওই নারী লালনে অফিসে ওই দিনই লালন তাকে বিয়ে করবে বলে তার পেটের বাচ্চা নস্ট করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এবং একসময় লালন জোর করে তার অমতে তাকে ঔষধ খাওয়ায়ে দেয়। এতে তার পেটের বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায়।
এর পরে ওই নারি বিয়ের কথা বললে লম্পট লালন সুকৌশলে সেখান থেকে কেটে পড়ে এবং তাকে বিয়ে করবে না বলে পরে জানিয়ে দেয়। এবং এবিষয়ে কাউকে জানালে তাকে জানে মেরে ফেলারও হুমকী প্রদান করেন। মাহাতাব উদ্দিল লালনের লাম্পট্য এবং তার প্রতারনার কথা বুঝতে পেরে ভুক্তভুগী ওই নারী বিজ্ঞ আদালতের স্মরনাপন্য হলে, কুষ্টিয়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম ওই আদেশ প্রদান করেন। মাহাতাব উদ্দিন লালন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার দিঘলকান্দি গ্রামের মৃত আপ্তাব উদ্দিন ওরফে গারিশ ফকিরের পুত্র। প্রসঙ্গত এর আগেও মাহাতাব উদ্দিন লালনের বিরুদ্ধে নারী সাংবাদিকের উপর হামলার অভিযোগের একটি মামলা কুষ্টিয়ার কোটে বিচারাধীন আছে।