নিউজ ডেস্ক:-
উদ্ধারকৃত পিস্তল – ২টি, ম্যাগাজিন – ৩টি, গুলির
খোসা – ২ রাউন্ড
এফ এম হাদিউজ্জামান আরিফ (৫০), পিতা মৃত এফ এম ওবায়দুল্লাহ, সাং – উত্তর আলমনগর (পালপাড়া), থানা – খালিশপুর, জেলা – খুলনা একজন দৌলতপুর থানার জিআর- ৪৯/১৮ তারিখ- ৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ এর ২ বছর ১ মাস সাজাপ্রাপ্ত আসামি এবং খালিশপুর থানার জিআর- ৪৪২/১৭ তারিখ -১৩ অক্টোবর ২০১৭ এর ২০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০,০০০ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত আসামি। মামলা হওয়ার পর হতে আসামি পলাতক ছিল এবং ২০১৪ সাল হতে কুষ্টিয়া জেলায় আত্নগোপন করে ছিল। আসামি এফ এম হাদিউজ্জামান আরিফ (৫০), পিতা মৃত এফ এম ওবায়দুল্লাহ, সাং – উত্তর আলম নগর (পালপাড়া), থানা – খালিশপুর, জেলা – খুলনা প্রথম দিকে মজমপুর সংলগ্ন জনৈক জামিলের বাসায় দীর্ঘদিন ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতো। পরবর্তীতে আসামি বাসা পরিবর্তন করে এবং গত সাত মাস ধরে সে মোঃ তরিকুল ইসলাম সুমন (৪২), পিতা- মৃত – মিরাজুল ইসলাম, সাং কালিশংকরপুর (বিএডিসি সংলগ্ন), চতুর্থ তলা বিশিষ্ট বিল্ডিংয়ের চতুর্থ তলায় দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করেন। শনিবার (১৬ অক্টোবর) খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের খালিশপুর থানার এসআই (নিঃ) মোঃ আব্দুল হালিম, এসআই (নিঃ) মোঃ রফিকুল ইসলাম, এসআই (নিঃ) মোঃ আজাদ রহমান, এএসআই (নিঃ) নুরুজ্জামান খালিশপুর থানার কেএমপি খুলনার এমসিসি নং- ২৫৬/২১ তারিখ – ১৬/১০/২০২১ মূলে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি এফএম হাদিউজ্জামান আরিফকে গ্রেফতারের জন্য অধিযাচনপত্র সহ কুষ্টিয়া মডেল থানায় হাজির হলে কুষ্টিয়া মডেল থানার জিডি নং- ৯২০, তারিখ – ১৬/১০/২০২১ মূলে পুলিশ সুপার কুষ্টিয়া মোঃ খাইরুল আলমের নির্দেশনা মোতাবেক কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইন চার্জ মোঃ ছাব্বিরুল আলমের নের্তৃত্বে এসআই (নিঃ) মোঃ হাসানুর রহমান, এএসআই / সাইমুন ঢালী, কং/৪৩৬ মোঃ শফিকুল ইসলাম, কং/৩৮২ মোঃ সেলিম রেজা যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করেন এবং ১২ঃ৪৫ ঘটিকায় পলাতক আসামি এফ এম হাদিউজ্জামান আরিফ (৫০), পিতা মৃত এফ এম ওবায়দুল্লাহ, সাং – উত্তর আলম নগর (পালপাড়া), থানা – খালিশপুর, জেলা – খুলনাকে মোঃ তরিকুল ইসলাম সুমন (৩৮), পিতা- মৃত – মিরাজুল ইসলাম, সাং কালিশংকরপুর (বিএডিসি সংলগ্ন), চতুর্থ তলা বিশিষ্ট বিল্ডিংয়ের চতুর্থ তলায় থেকে গ্রেফতার করেন। আসামি একজন মাদক ব্যাবসায়ী ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী মর্মে খুলনা এলাকায় জনশ্রুতি আছে। উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে পুলিশ আসামীকে ব্যাপক জিজ্ঞাসা বাদ ও বাসা সার্স করা কালে আসামি এফএম হাদিউজ্জামান আরিফ অস্ত্রের কথা স্বীকার করে এবং নিজ হাতে তার ডাইনিং রুমে থাকা ডাইনিং টেবিলের উপরের পাটাতন উঠিয়ে বিশেষ কায়দায় তৈরীকৃত বক্সের মধ্য হতে ২টি পিস্তল, ৩টি খালি ম্যাগাজিন, ২টি গুলির খোসা বের করে দিলে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে পুলিশ তা জব্দ করে। এ ব্যাপারে আসামি কোন বৈধ কাগজপত্র উপস্থাপন করতে না পারায় তার বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯-এ ধারায় মামলা রুজু করা হয়। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের খালিশপুর ও দৌলতপুর থানায় তার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে সর্বমোট ৪টি মামলা আছে যার ২টি মামলায় তার সাজা হয়। তার দুই স্ত্রী ; প্রথম স্ত্রীর দুই ছেলে এক মেয়ে। দ্বিতীয় স্ত্রীর কোন সন্তানাদি নেই। সে কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে ২০১৪ সাল হতে আত্নগোপনে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছিল।