ডন ডেস্ক:-
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ও জনসমপৃক্ত একটি বৃহৎ শৃঙ্খলা বাহিনী। এ বাহিনীর কার্যক্রম তৃণমূল পর্যন্ত বিস্তৃত। এ বাহিনীর সদস্য ৬১ লাখ। দেশের আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা রক্ষা এবং গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। দেশের প্রতিটি গ্রামে বা মহল্লায় এ বাহিনীর সদস্য রয়েছেন। সরকারের যেকোন সচেতনতামূলক কার্যক্রম আনসার- ভিডিপি’র সদস্যদের মাধ্যমে খুব সহজেই তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে দিচ্ছেন এই বাহিনীর সদস্যরা।বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সাহসিকতা ও কর্মদক্ষতা বর্তমানে সর্বজন স্বীকৃত। বাহিনীর প্রায় ৫০ হাজার অঙ্গীভূত আনসার সদস্য সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা বিধান করে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে অনন্য ভূমিকা পালন করছে। দেশ ও জনপদকে নিরাপদ রাখতে ২টি মহিলা ব্যাটালিয়নসহ এ বাহিনীতে ৪২টি আনসার ব্যাটালিয়ন রয়েছে। কুষ্টিয়ার জেলা কমান্ড্যান্ট সোহেলুর রহমান ৩৩ তম (বিসিএস) ব্যাচে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যোগদান করেন। তিনি বর্তমানে কুষ্টিয়াতে ১৮ নভেম্বর ২০১৯ হইতে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। যোগদানের পর থেকে তাঁর কর্মস্থলে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন সাধিত করেন। উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের মধ্যে রয়েছে সার্বিক প্রশিক্ষণের মান উন্নয়ন ,জেলা আনসার ও ভিডিপি'র কার্যালয়ের শোভা বর্ধন,পর্যাপ্ত আলোর ব্যাবস্থা। ডাইনিং ও প্রশিক্ষণ ভবন, প্রশিক্ষণ সেড,সীমানা প্রাচীর,বিশুদ্ধ পানির ব্যাবস্থা, অফিসের শোভাবর্ধন,সুশৃঙ্খলা। বঙ্গবন্ধু মিউজিয়াম, দৃষ্টিনন্দন পুকুর ঘাট স্থাপন,বঙ্গবন্ধু কর্ণার।বঙ্গবন্ধু কর্ণারে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের বিভিন্ন ধরনের ছবি,বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা বিভিন্ন লেখকের বই। উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষণ বহুমাত্রিক বিশ্লেষণ,শতবষী মুজিব,মুক্তিযুদ্ধের সামরিক অভিযান,নির্বাচিত ১০০ ভাষণ।২০১৯ সালের পর থেকে পুরো এলাকার চেহারা পরিবর্তনসহ আনসার ভিডিপি,র নিহত সদস্য দের পরিবারের হাতে প্রাপ্য আর্থিক চেক দ্রুত হস্তান্তর, দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের সার্বিক সহযোগীতা নিশ্চিত করেন।বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে দৃষ্টান্ত ভূমিকা পালন করে চলেছে তিনি।বর্তমানে কুষ্টিয়ায় কর্মরত এই বাহিনীর বিভিন্ন সদস্যদের কাছে তিনি একজন আইডল হিসেবে সুপরিচিত লাভ করেছেন। কুষ্টিয়ার জেলা কমান্ড্যান্ট সোহেলুর রহমান বলেন,প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মকর্তা হিসেবে আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।আমার অধীনস্ত এই বাহিনীর কুষ্টিয়ার সকল সদস্যদের সহযোগিতায় রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিবেশ এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনের কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন,মহান মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের আম্রকাননে (মুজিবনগরে) গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকারকে আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহনকালে আনসার প্লাটুন কমান্ডার ইয়াদ আলীর সাথে ১২ জন বীর আনসার সদস্য ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করেন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর আহবানে সাড়া দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৯ জন কর্মকর্তা, ৩ জন কর্মচারী ও ৬৫৮ জন আনসার সদস্য শহিদ হন। এ বাহিনীর ৪০ হাজার থ্রি নট থ্রি রাইফেল ছিল স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল শক্তি। মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বাহিনীর ১ জন সদস্য বীর বিক্রম এবং ২ জন সদস্য বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত হন।পরিশেষে তিনি আরো বলেন, যতদিন আছি দেশের জন্য কাজ করে যাব। আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব আমি শতভাগ পালন করে যাব।
উপদেষ্টা: বেলাল আহাম্মেদ, প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃ জাহিদুল হক ডন, বার্তা সম্পাদক : যাবির মাহমুদ
সম্পাদকীয় কার্যালয়: মঙ্গলবাড়িয়া বাজার, কুষ্টিয়া।
মোবাইল : ০১৭১২-৮১৪০৫৯,ইমেইল : thedonnews24@gmail.com।
ই-পেপার কপি