স্টাফ রিপোর্টার:-
কুষ্টিয়ায় শাফায়াত নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে এক প্রতিবন্ধি কে জোরপূর্বক অপহরণ ও ধর্ষন,বিয়ের নামে প্রতারণা ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। সে মিরপুর উপজেলার নতুন সুতাইল গ্রামের নুমাজ আলীর ছেলে। সোমবার (১৩ ডিসেম্বর ) সকাল ১১টায় কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব-কেপিসি হলরুমে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন ভিকটিমের কাকা। ভুক্তভোগী পরিবারের ভাষ্য, স্ত্রীসন্তান থাকা সত্বেও গত ৫/৬ মাসের মধ্যে বিভিন্ন সময় প্রতিবন্ধি নাবালিকা কে চানাচুর,লজেন্সের লোভ দেখিয়ে একাধিকবার লালসা চরিতার্থ করেছে প্রতিবেশী লম্পট শাফায়াত। পরিবারের অগোচরে চলছিল এসব। গত ১১ নভেম্বর -২০২১ রাত ৮টায় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে উঠে ঐ প্রতিবন্ধি। একা পেয়ে পূর্ব হতেই ওৎ পেতে থাকা শাফায়াতসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন মুখোশধারী সন্ত্রাসী জোরপূর্বক অপহরণ করে ঐ প্রতিবন্ধিকে। জনৈক রহম আলীর গোয়াল ঘরের পেছনে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় প্রতিবন্ধির আর্তনাদ শুনে রঙ্গিলা,জরিনা,কল্পনাসহ ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা ছুটে এসে প্রতিবন্ধিকে উদ্ধার করেন। শাফায়াত কে হাতে নাতে ধরে ফেলেন। টর্চের আলোতে শাফায়াতের সহযোগী রোকমান কে পালিয়ে যেতে দেখতে পেয়েছেন তারা। ধর্ষনের ঘটনা ধামাচাপা দিতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন অভিযুক্তের দুলাভাই হারান। বিয়ের প্রস্তাবে রাজী না হলে ভিকটিমের পরিবার কে হত্যা করবে মর্মে হুমকি দেয়। প্রাণভয়ে অসম বিয়ের প্রস্তাব মেনে নেয় ভিকটিমের পরিবার। গত ১২নভেম্বর রাত ১০ টায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সাদাকাগজে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করিয়ে ৭ লাখ টাকা মোহরানার ধার্যে বিনা ওয়াসিলে বিয়ে করে শাফায়াত। কিন্তু এটা ছিল নাটক। গত ১৯ নভেম্বর -২০২১ শাফায়াতের বাড়ীতে প্রতিবন্ধির দরিদ্র কৃষক ও লোকবলহীন বাবা আবের আলী মেয়ে কে দেখতে যান। মেয়েকে না পেয়ে ভেঙ্গে পড়েন তিনি। তার অভিযোগ, প্রতিবন্ধিকে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছে শাফায়াত। ২৯ নভেম্বর ২০২১ মিরপুর থানা পুলিশের সহায়তা মেয়েকে উদ্ধার করেন হতভাগ্য বাবা। ঘটনাক্রমে প্রতিবন্ধি এখন ৪ মাসের অন্তঃসত্বা। সন্তানের পিতৃত্ব অস্বীকার করছেন শাফায়াত। স্ত্রীর ভরণপোষণ দিচ্ছেন না। এমনকি ভিকটিম প্রতিবন্ধিকে একাধিকবার হত্যার চেষ্টা করেছে শাফায়াত। ভিকটিম ও তার পরিবার বতর্মানে চরম নিরাপত্তায় রয়েছেন। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে শাফায়াত ও তার সহযোগীদের গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন হতভাগ্য বাবা।