নিজস্ব প্রতিবেদক:-
দুই প্রিজাইডিং অফিসার রাতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বাড়িতে থেকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে ফলাফল কারচুপির মাধ্যমে পরাজয়ের নকশা আঁটে। গতকাল কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব-কেপিসি’র কাঙাল হরিনাথ মিলনায়তনে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ১৩ নং মনোহরদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শহিদুল ইসলাম মাষ্টার একথা বলেন। তিনি আরও বলেন, কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের জামায়াত পন্থী শিক্ষক শহিদুল বারী ৬ নং ভোট কেন্দ্র (ছয়ঘরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়) , মিলপাড়া আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষক আব্দুল মোমিন ৫ নং ভোট কেন্দ্র (রাধানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে) প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন। এই দুজন প্রিজাইডিং অফিসার রাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জহুরের বাড়িতে রাত্রিবাস করেন। সেই রাতেই জহুরের বাড়িতে বসে নৌকা কে হারানোর ষড়যন্ত্র হয়। আওয়ামীলীগের প্রার্থী আরও বলেন, সব কেন্দ্রে ভোটের ফলাফল হওয়ার ২ ঘন্টা পরে এই দুটি কেন্দ্রের ফল প্রকাশ হয়। নৌকার এজেন্টের নিকট দুপুর বেলাতেই স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। গণনার সময় নৌকার এজেন্টকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়। এই দুটি ভোট কেন্দ্র আওয়ামীলীগ থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী জহুরের বাড়ির কাছে। রাধানগর ভোট কেন্দ্রে প্রথমে স্বতন্ত্র প্রার্থী জহুরের ৫শ ভোট ঘোষণা করে। পরে রেজাল্টশীটে লেখা হয় ৭১৮। একই অভিযোগ ছয়ঘরিয়া কেন্দ্রে। ফলাফল পাল্টে দেওয়া হয়েছে। নৌকার ফলাফল গেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়ার মার্কার ঘরে আর ঘোড়ার রেজাল্ট হয়েছে নৌকার ঘরে। ইত্যকার নানা অভিযোগ করলেন আওয়ামীলীগ প্রার্থী। তিনি বলেন, বর্তমানে নৌকার কর্মী সমর্থকদের বাড়ি ঘরে হামলা চলছে। শতাধিক গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন এই সংবাদ সম্মেলনে। সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন নৌকার প্রার্থী শহিদুল ইসলাম মাস্টার। এ বিষয়ে ছয়ঘরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার শহিদুল বারী বলেন, শুনেছি অন্য একটি কেন্দ্রে এমন ঘটেছে তবে আমার কেন্দ্রে নয়। তিনি জামায়াত কি না জানতে চাইলে, তিনি বলেন দাড়ি টুপি দেখে সবাই তাই বলে। রাধানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আব্দুল মোমিন বলেন, তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ সঠিক নয়। এছাড়াও তার রাজনৈতিক অবস্থান সম্পর্কে বলেন, আমি কোন দলের সাথে নেই।