ডন ডেস্ক:-
কুষ্টিয়া শহরের মিলপাড়া এলাকায় সুরাইয়া নামের ৭ বছরের প্রথম শ্রেণীর স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীর গলায় দড়ি দিয়ে রহস্যজনক মৃত্যুতে এলাকায় টানটান উত্তেজনা চলছে। নিহতের পরিবার দাবি করছে সুরাইয়াকে ৪-৫ জন ধর্ষনের পর হত্যা করে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছে। সুরাইয়ার শরীরের দুই কাধে এবং দুই পায়ে হাত দিয়ে চেপে ধরে রাখার আঘাতও দেখেছে পরিবারের সদস্য বলে জানিয়েছে। এই নিয়ে রবিবার দুপুরবেলা এলাকাবাসী সহ নিহতের পরিবারের লোকজন ৪-৫ জনের বাড়িঘর দোকানপাট ভাংচুরের চেষ্টা চালিয়েছে। পরে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে। লাশ ময়নাতদন্তের পর বাড়িতে নিয়ে আসলে হাজার হাজার মানুষ লাশ দেখতে ভীড় করে উল্লেখ্য
শনিবার সন্ধ্যার পর গলাই ওড়না প্যাচানো অবস্থায় সুরাইয়াকে উদ্ধারের পর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।সুরাইয়া কুষ্টিয়া পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ডের পূর্ব মিলপাড়া এলাকার রুবেল আলীর মেয়ে। সে আলাউদ্দিন আহমেদ একাডেমি স্কুলের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। তার বাবা মাছ ব্যবসায়ী। সুরাইয়ার মা ইমা খাতুন বলেন, অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি পরে রাত ৭টার দিকে টিনের ঘরে গিয়ে দেখি ঘরের ডাপের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অচেতন অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে। আমার মেয়ের কি হলো বুঝতে পারছি না। এতটুকু শিশু আত্মহত্যা করবে কেন? আমার মেয়ে আত্মহত্যা করার মেয়ে না। সুরাইয়ার বাবা রুবেল আলী বলেন, আমি বাড়ির বাইরে ছিলাম। ফোন পেয়ে বাড়ি এসে দেখি মেয়ে মারা গেছে। ঘরের মধ্যে আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ছিল। আমার স্ত্রী ওড়না কেটে তাকে উদ্ধার করে। স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা বুঝতে পারছি না। আমার মেয়ে আত্মহত্যা করবে কেন? সেতো আত্মহত্যা কী তাই বোঝে না। কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আশরাফুল আলম বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়। ধারণা করা হচ্ছে গলায় ফাঁসে তার মৃত্যু হয়েছে। লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।