রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
কুষ্টিয়া শিলাইদহ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ডিগ্রী কলেজ সরকারি করনের দাবি কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলার আসামী ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কারাগারে ভূমিদস্যুরাই এখন বিচারহীন অপরাধী দুই এএসআই হত্যা: আসামি ধরতে গিয়ে ফের পুলিশের ওপর হামলা কুষ্টিয়ায় নিজের গলাই ছুরি চালিয়ে বৃদ্ধার আত্মহত্যা কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বাবা-মা ও মেয়ের মৃত্যু চোখের পানি ধরে রাখতে পারছি না বুক ফেটে যাচ্ছে ফায়ার ফাইটার মেহেদী আজাদ ডুবুরি না হয়েও জিবনের ঝুঁকি নিয়ে পানির নিচ থেকে লাশ উদ্ধার করে আগামীকাল থেকে ৩দিন ব্যাপী লালন স্মরণোৎসব শুরু কুষ্টিয়ার ঝাউদিয়ায় দুই গ্রুপের ব্যাপক গোলাগুলি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বজ্রপাতে নারীসহ চারজনের মৃত্যু

কুষ্টিয়ায় আলোচিত ট্রিপল হত্যা মামলায় আমৃত্যু-৩, যাবজ্জীবন-৭ এবং ৬ জনের ১০ বছর কারাদন্ডসহ জরিমানা আদেশ আদালতের

Reporter Name / ৪৩৩ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২২ মার্চ, ২০২২, ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন

ডন ডেস্ক:-

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার আলোচিত অপহরণ, মুক্তিপন আদায়, ট্রিপল মার্ডারসহ লাশ গুমের দায়ে তিনজনের আমৃত্যু, ৭জনের যাবজ্জীবন এবং ৫জনের ১০বছর কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আতিরিক্ত আদালত-১এর বিচারক তাজুৃল ইসলামের আদালতে ১০জন আসামীর উপস্থিতি ৫জনের অনুপস্থিতিতে জনাকীর্ন আদালতে এই রায় ঘোষনা করেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- আমৃত্যু কারাদন্ড দৌলতপুর উপজেলার শালিমপুুর গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে ওয়াসিম রেজা (পলাতক) মৃত: নুরু বিশ্বাসের ছেলে সোহেল রানা এবং হরিনাকুন্ডু উপজেলার কাটদাহ গ্রামের আলী জোয়ার্দারের ছেলে মানিক জোয়ার্দার(পলাতক)। যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্তরা হলেন, পিচ্ছি মনির(পলাতক), মোটা জসিম(পলাতক), উল্লাস খন্দকার, তৈমুল ইসলাম বিপুল, ফারুক চেয়ারম্যান, আব্দুল মান্নান মোল্লা
(পলাতক) এবং বিপুল চৌধুরী। এছাড়া ১০বছর সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- মনির, সোহেল, জসিম, উল্লাস এবং মানিক। আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৩ অক্টোবর বিকেলে দৌলতপুর উপজেলার শালিমপুর গ্রামের কবরস্থান সংলগ্ন হিসনা নদীর পাড়স্থ আসামী ফারুক চেয়ারম্যানের জমিতে পুতে রাখা অবস্থায় তিনজনের গলিত লাশ উদ্ধার করে দৌলতপুর থানা পুলিশ। পরে সনাক্ত মতে নিহতরা হলেন কুষ্টিয়া সদ্র উপজেলার মজমপুর গ্রামের হাসান আলীর ছেলে মেহেদী হাসান সোহাগ, ঝিনাইদহের ২৯কাঠা গোলাম মস্তফা সড়কের বাসিন্দা রেজাউল ইসলামের ছেলে রাসেল সরকার এবং যশোর শার্শা উপজেলার বাঘআঁচড়া গ্রামের বাসিন্দা সিদ্দিক হোসেনের ছেলে মুকুল হোসেন। এঘটনায় নিহত মুকুল হোসেনের বড় ভাই ইলিয়াস কবির বকুল বাদি হয়ে ২০০৯ সালের ২ডিসেম্বর দৌলতপুর থানায় অপহরণ করে আটকে রেখে মুক্তিপন আদায়ে ব্যর্থ হয়ে গলায় রশি পেচিয়ে হত্যা করে লাশ মাটিতে পুতে রেখে গুম করার অভিযোগে ১৬জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১১ সালে ৩১ মার্চ চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১৫জনের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন দৌলতপুর থানা পুলিশ। আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, অনেক দেরিতে হলেও দৌলতপুর থানার চাঞ্চল্যকর ও নির্মম এই ট্রিপল হত্যা মামলায় চার্জ গঠন পূর্বক স্বাক্ষ্য শুনানী শেষে আসামীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমাণিত হওয়ায় তিন আসামিকে আমৃত্যু ৭জনের যাবজ্জীবন এবং ৫জনের ১০বছর করে সশ্রম কারাদন্ডসহ বিভিন্ন পরিমান অর্থ দন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। ধার্যকৃত জরিমানার অর্থ পরিশোধ ব্যর্থ হলে প্রত্যেকে অতিরিক্ত আরও এক বছর করে সাজা ভোগ করতে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর ....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর