ডন ডেস্ক:-
কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের উত্তর পার সাওতা এলাকার জেসমিন বেগম (৩২) কে অপহরণ করে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে তিন জনের নামে কোর্টে মামলা হয়েছে । গত ২৬ শে মার্চ সন্ধ্যার সময় কুমারখালীর বরুড়িয়া গ্রামে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরে ১ এপ্রিল কুমারখালী থানায় ভুক্ত ভোগী জেসমিন বেগম বাদী হয়ে লিখিত এজাহার জমা দিয়েও কোন প্রতিকার না পেয়ে গত ৩ই এপ্রিল কুষ্টিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কুমারখালীর উত্তর পাড়সাওতা এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে রাসেল আহমেদ (২৫),একই এলাকার মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে হেলাল শেখ (২৮),মৃত উকাল শেখের ছেলে আলিমান সেখ (৩২) এর বিরুদ্ধে একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায় , আসামিরা দীর্ঘদিন যাবৎ জেসমিনকে রাস্তাঘাটে কুপ্রস্তাব দিতো। বিষয়টি জেসমিন তার স্বামীকে জানালে তার স্বামী আসামিদের অভিভাবককে জানালেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি। পরে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে জেসমিন তার মেয়ের সাথে দিদার বাড়ী যাওয়ার পথে ফাঁকা রাস্তায় দুইটি মোটরসাইকেল যোগে রাস্তা আটকে তার মেয়েকে লাথি মেরে ফেলে দিয়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে মুখ চেপে ধরে নিয়ে চলে যায়।
পরে জেসমিনকে কুমারখালী যদুবয়রা ইউনিয়ন বড়ুরিয়া চর এলাকার একটি বাড়িতে মুখ ও হাত পা বেঁধে সারারাত ধরে পালাক্রমে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত আসামীরা। তারপর পরদিন সকাল্এ জেসমিন কৌশলে সেই বাড়ি থেকে পালিয়ে আসলে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া কোর্টে একটি ধর্ষন মামলা হয়েছে। মামলা নং -১২/৯৪ তারিখ ১০ এপ্রিল ২০২২ ইং। ভুক্তভোগী জেসমিন বেগম বলেন,ঘটনার পর আমি কুমারখালী থানায় মামলার জন্য এজাহার জমা দিলে পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে আমি কুষ্টিয়া কোর্টে আইনের আশ্রয় নিলে কোর্ট কুমারখালী থানা পুলিশকে মামলা নেওয়ার জন্য আদেশ দেন। কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, বিষয়টি নিয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে।