কুষ্টিয়া প্রতিবেদক:-
কুষ্টিয়ায় সরকারি নীতিমালা বর্হিভূত লাইসেন্স বিহীন কন্ট্রোল রুম ও অবৈধ ডিটিএইচ এর মাধ্যমে ক্যাবল (ডিস) ব্যবসা জমজমাট। একশ্রেণির অসাধু ডিস ব্যবসায়ী সরকারী নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে প্রশাসনের নাকের ডগায় দীর্ঘদিন থেকে অবৈধ ডিটিএই এর মাধ্যমে এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্থ্ হচ্ছে সাধারণ জনগণ এবং সরকারও বিপুল পরিমান রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আইন শৃংখলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে হরহামেশা লাগানো হচ্ছে ডিটিএইচ ও সেটবক্স। অবৈধ পথে আনা এসব ডিটিএইচ ও সেটআপ বক্স দিয়ে পাইরেসির মাধ্যমে বিভিন্ন পে চ্যানেলের ডাউনলিংক করে গ্রাহক পর্যায়ে সম্প্রচার করছে। আর এসব যন্ত্রাংশ কেনা ও নবায়নের করতে গিয়ে প্রতিবছর হুন্ডির মাধ্যমে পাচার হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। যা ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক কার্যক্রম পরিচালনা আইন ২০০৬ এবং লাইসেন্স বিধিমালা ২০১০ এর পরিপন্থী। একই সাথে তারা সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে হুন্ডির মাধ্যমে দেশের বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার করছে। সরকার ক্যাবল টিভি ডিজিটাল করার নির্দেশ প্রদান করেছে এবং যে সমস্ত চ্যানেল ডাউনলিংক করে বাংলাদেশে প্রচারের জন্য অনুমতি দিয়েছে যে সমস্ত চ্যানেলের ডিস্ট্রিবিউটারগণও সরকারের ধার্যকৃত রেভিনিউ দিতে ব্যর্থ হচ্ছে অবৈধ ডিটিএইচ ব্যবসায়ীর কারণে।
টাটা স্কাই, সান টিভি, ডিস টিভি, ভিডিও কন, এয়ারটেল, রিলায়েন্সসহ সকল প্রকার বিদেশী ডিটিএইচ বাংলাদেশে অনুমোদন না থাকলেও কুষ্টিয়া ক্যাবল নেটওর্য়াক (ডিস) ব্যবসায়ী হাবলু ও বিশ্ব গং চোরাই পথে আসা বিভিন্ন কোম্পানীর ডিটিএইচ দ্বারা ক্যাবল নেটওয়ার্ক ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছেন যা সম্প‚র্ণ অবৈধ ও বেআইনী। এ সমস্ত অবৈধ ব্যবসায়ীদের প্রভাবের কাছে সাধারণ গ্রাহকরাও এক প্রকার জিম্মি হয়ে আছে। প্রকৃত গ্রাহকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। অবৈধ ডিটিএইচের বিষয়ে সরকারের নির্দেশনা মত যথাযথ আইনের প্রয়োগ হলে অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি বিদেশে টাকা পাচার বন্ধ করা সম্ভব হবে এবং এ খাত থেকে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব আদায়ে সম হবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন অবৈধভাবে ডিস ব্যবসায়িকদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।