নিজস্ব প্রতিবেদক:-
আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ সন্ত্রাসী হামলায় জাসদ যুবজোট নেতা মাহাবুব খান সালাম হত্যায় জরিত দৌলতপুরের কিলারখ্যাত সন্ত্রাসী বুলবুল আহমেদ টোকন ও তার ভাই সেলিম চৌধুরী সহ হত্যাকান্ডে জরিত চিন্থিত সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে কুষ্টিয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জাতীয় যুবজোট, কুষ্টিয়া জেলা শাখা। মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় কুষ্টিয়া পৌরসভা থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে শহরের এন এস রোড হয়ে একতারা মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশের মধ্যে দিয়ে সমাবেশ শেষ হয়। জাসদ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলিম স্বপনের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসিন, যুবজোট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক শরিফুল কবির স্বপন, মিরপুর উপজেলা জাসদের সাধারন সম্পাদক আহম্মদ আলী, জেলা জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক অসিত সিংহ রায়, জেলা যুবজোটের সভাপতি মাহবুব হোসেন, ভেড়ামারা জাসদের সাধারন সম্পাদক আনসার আলী। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, যুবজোট নেতা সালাম ছিল সত্যবাদী, ন্যায় পরায়ন যুবনেতা। সালাম সব সময় অপরাধের প্রতিবাদ করায় চৌধুরীরা তাকে ভয় পেয়ে প্রতিপক্ষ মনে করে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে। আমারা দেশের প্রচলিত আইনে এজাহার নামীয় আসামী টোকেন ও সেলিম চৌধুরীসহ সকল পলাতক আসামীদের অবিলম্বে দ্রুত গ্রেফতারে আইনশৃংখলা বাহীনির দৃষ্টি আকর্ষন করছি। বক্তারা হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, একটি হত্যার সঠিক বিচার না পেলে ১০টি হত্যার জন্ম দেয়। প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ রাখবো আইনের প্রতি জাসদের নেতা কর্মীদের শ্রদ্ধা রয়েছে। অীাওয়ামীলীগের সাথে বার বার বিশ^াস ঘাতকতা করা সন্ত্রাসী চৌধুরী পরিবারকে গোপনে আতাত করে রক্ষার করার চেষ্টা করলে জাসদ তা মেনে নেবে না। যুবজোট নেতা সালাম হত্যার মধ্যে দিয়ে প্রমান করে গেছে জাসদ কোন কাপুরুষের দল নয়। এই আসামীদের ফাঁসির কাষ্টে জুলিয়ে রগ কাটা দেখা পর্যন্ত জাসদের কর্মী বাহীনি রাস্তায় আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাবে। উল্লেখ্য, সন্ত্রাসী হামলায় নিহত মাহাবুব খান সালামের পিতা আলাউদ্দিন খান ওরফে এনামুল হক বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নং ৩১। মামলার আসামীদের মধ্যে রয়েছেন দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনের সাবেক ( বিদ্রোহী) এমপি রেজাউল হক চৌধুরীর ছোটভাই হোগলবাড়িয়া ইউপি নেতা সেলিম চৌধুরী, দৌলতপুর যুবলীগের বহিস্কৃত সভাপতি বুলবুল আহমেদ টোকেন চৌধুরী, দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য আসাদুজ্জামান লোটন চৌধুরীসহ একই পরিবারের ৬ জন। হত্যা মামলা দায়েরের পর দৌলতপুর থানা পুলিশ উপজেলার আল্লারদর্গা ও সোনাইকুন্ডিসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলার ৩ জন এজাহার নামীয় আসামি সোহান, নজিবুল ও মেহেদীকে গ্রেফতার করেছে। বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, সালাম হত্যাকান্ডের সাথে জরিত এজাহার নামীয় আসামীদের নামে হত্যা, অপহরন, মাদক, অগ্নি সংযোগ, লুটপাট, ডাকাতি, ছিনতাইসহ অসংখ্য মামলা রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দৌলতপুরের স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতারা জানান, সন্ত্রাসী টোকেন ও সেলিম এর নামে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় বিগত কয়েক মাস ধরে একের পর এক সংবাদ হচ্ছে। এর পরেও তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ও দলীয় ব্যবস্থা না নেওয়া একের পর এক অপরাধ টোকেন বাহীনি করেই চলেছে। বিগত সময়ে বিদ্রোহী এমপি রেজাউল হক চৌধুরীর এমপি প্রভাব খাটিয়ে দৌলতপুরে অপরাধ সামরাজ্য গড়ে তুলেছে। এই বাহীনির কাজে বাধা দিলেই নেমে আসে তাদের উপর অত্যাচার জুলুম। এমপি ভাই এর প্রভাব খাটিয়ে বারবার অপরাধ করে পার পেয়ে যাওয়ায় কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের নেতাসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাদের নামে প্রকাশ্যে বক্তব্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল করে সন্ত্রাসী টোকেন। এছাড়াও তার রয়েছে অবৈধ টাকার খেলা টেন্ডার বাজি, হাট ঘাট, বালি মহল দখল সহ মাদক ও অস্ত্রের ব্যবসা করে অল্প সময়ে শত শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছে চৌধুরী পরিবার।এলাকার সচেতন মহলের দাবি অবৈধ টাকার গরমে চৌধুরীরা দিনে রাতে প্রকাশ্যে মানুষ হত্যা করে। পুলিশের আইজিপিসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে দৌলতপুরের নিরীহ বিচার প্রার্থীদের দাবি অবিলম্বে সন্ত্রাসী চৌধুরী পরিবারের সদস্যদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।