ডন ডেস্ক:-
সোমবার (১৬ মে ২০২২) সকাল সাড়ে ১০ টায় জেলা পুলিশ কুষ্টিয়ার আয়োজনে পুলিশ লাইন্স সম্মেলন কক্ষে মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মাসিক কল্যাণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ খাইরুল আলম, পুলিশ সুপার কুষ্টিয়া। প্রধান অতিথি জেলা পুলিশ কুষ্টিয়ার সার্বিক কল্যাণে অফিসার – ফোর্সের আবেদন নিবেদন শ্রবণ করে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ প্রদান করেন এবং বিভিন্ন দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন। পুলিশ সুপার এ সময় বলেন, জনগনের কল্যাণে আমাদেরকে মানবিক পুলিশ হতে হবে এবং প্রত্যেকের উপর অর্পিত দায়িত্ব ঈমানী দায়িত্ব হিসেবে যথাযথভাবে সঠিক সময়ে পালনের মাধ্যমে জনগণের শতভাগ কল্যাণ নিশ্চিত করতে হবে। আমরা জনগনের প্রথম ভরসা স্থল হতে চাই। বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারন জনগনের কাছে নির্ভেজাল সেবা পৌঁছে দিতে হবে। এখন থেকে জনগনকে পুলিশি সেবা নিতে দুর দুরান্ত থেকে আর থানায় আসতে হবেনা। প্রত্যন্ত এলাকার বিট অফিসারের মাধ্যমে সকল প্রকার পুলিশি সেবা নিতে পারবেন। প্রতিটি বিট অফিসার তার বিট এলাকার মানুষের সাথে মিশে তাদের সকল প্রকার সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করবেন। এতে করে স্থানীয় ভাবে অনেক সমস্যা সমাধান করা যাবে। থানায় মামলা সংখ্যা কমে যাবে এবং জনগনের দুর্ভোগ লাঘব হবে। মনে রাখতে হবে আমরা বৃটিশ বা পাকিস্তানি পুলিশ নই। আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দেয়া স্বাধীন বাংলাদেশের জনগনের পুলিশ। এ সময় পুলিশ সুপার কুষ্টিয়া মোঃ খাইরুল আলম আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীন দেশের স্বপ্নের পুলিশ হতে আমরা একটি টিম ওয়ারী কাজ করতে চাই। আমরা নিজেদের উদ্দেশ্যে চাকরি করছিনা। রাষ্ট্রের উদ্দেশ্য পূরনের জন্য আমরা চাকরি করছি। আমরা জনতার পুলিশ হতে চাই। তাই জনগনের কথা শুনতে হবে, তাদের সাথে মিশতে হবে। বিট পুলিশিং কার্যকর করে আইন শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে হবে, জনগণের সমস্যার সমাধান করতে হবে ; বিট এলাকায় বসে সমস্যার সমাধান না হলে থানায় মামলা নিতে হবে। দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে অবস্থান করছে। দেশের উন্নয়নের সাথে সাথে আমাদের মন মানষিকতার উন্নয়ন ঘটাতে হবে। সেই লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আইজিপি মহোদয়ের নির্দেশনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সত্যিকারার্থে জনগনের সেবক হতে কাজ করছে পুলিশ। কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে আমরা জনগনের পুলিশ হতে কাজ করছি। পুলিশের প্রতি সাধারন মানুষের ভাল ধারনা তৈরী করতে হবে।জনগন ও পুলিশের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তুলে পুলিশ ও জনগনের মাঝে দুরত্ব কমিয়ে আনতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স। মাদকের করাল গ্রাস থেকে আমাদের যুব সমাজকে বাঁচাতে হবে। সমাজ থেকে মাদক দুর করতে হলে জনসাধারণের আস্থা অর্জন করে আন্তরিক ভাবে কাজ করে যেতে হবে। মাদকের সাথে কোন পুলিশ সদস্য জড়িত থাকলে তাকে ছাড় দেয়া হবেনা। আমরা কুষ্টিয়া জেলাকে ইভটিজিং, মাদক ও সন্ত্রাসী মুক্ত জেলা গড়তে চাই। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস), মোঃ ইয়াছির আরাফাত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভেড়ামারা সার্কেল), মোঃ রাজিবুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ), মোঃ আজমল হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার (মিরপুর সার্কেল), মোছাঃ নাজমা খাতুন, মেডিকেল অফিসার, পুলিশ হাসপাতাল, আরওআই মোঃ শহীদুজ্জামান, কুষ্টিয়া জেলার সকল থানার অফিসার ইনচার্জবৃন্দ, ডিআইও ১, টিআই ১, আরআই পুলিশ লাইন্স কুষ্টিয়াসহ জেলা পুলিশের সকল র্যাংকের অফিসার ও ফোর্স।