ডন ডেস্ক:-
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নে আনন্দ মেলার অনুমতি নিয়ে চলছে রমরমা র্যাফেল ড্র লটারি বাণিজ্য। মেলা ১ম দিন থেকেই এই অবৈধ র্যাফেল ড্র এর নামে চলছে লটারি বাণিজ্য। এই অবৈধ র্যাফেল ড্র এখন মেলার মূল বিষয়ে পরিণত হয়েছে। চটকদার সব বিজ্ঞাপন প্রচার করে এবং মোটরসাইকেল, গরু বাইসাইকেল, টিভি, ফ্রিজসহ বিভিন্ন রকম পুরস্কারের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রকাশ্যে র্যাফেল ড্র এর টিকিট বিক্রি করতে পিকআপ, ব্যাটারিচালিত ভ্যান, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে করে শতাধিক লটারি বিক্রেতা দৌলতপুর উপজেলা, পাশ্ববর্তী ভেড়ামারা উপজেলা, মিরপুর উপজেলাসহ বিভিন্ন গ্রামে চষে বেড়াচ্ছে। চটকদার এসব বিজ্ঞাপনে প্রলুব্ধ হয়ে মোটরসাইকেল,গরু সাইকেল, টিভি, ফ্রিজসহ বিভিন্ন রকম পুরস্কার পাওয়ার আশায় গ্রামের নিরীহ মানুষ প্রতিদিনই এই লটারি কিনছেন। এভাবেই র্যাফেল ড্র এর নামে প্রতিদিন সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন মেলার আয়োজক রাকিব,শাহাবুল, ওবায়দুল লিটন সহ সংশ্লিষ্টরা। এতে আর্থিকভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। কুষ্টিয়া শহরে এবং কয়েকদিন আগে কুমারখালীর জগন্নাপুর ইউনিয়নে চাপাইগাছিতে চম্পা বতি মেলা থেকেই র্যাফেল ড্র এর লটারি বিক্রি করে পুরস্কার না দিয়ে রাতের আঁধারে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালানোর অভিযোগ রয়েছে একটি র্যাফেল ড্র কোম্পানির বিরুদ্ধে। বেশ কয়েক বছর র্যাফেল ড্র বন্ধ থাকলেও আবার নতুন করে গ্রামীণ মেলার নামে র্যাফেল ড্র এর আয়োজন করেছে এই প্রতারক চক্রটি।এদিকে কয়েকদিন ধরে দৌলতপুর শহরে ও গ্রামের আশে পাশের মোড়ে মোড়ে প্রকাশ্যে পিকআপ, ব্যাটারিচালিত ভ্যান, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক থামিয়ে মাইকে বিজ্ঞাপন প্রচার করে জান। দৈনিক র্যাফেল ড্র লটারি বিক্রি করা হচ্ছে। এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড প্রকাশ্যে চললেও জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের নীরব ভূমিকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের পাশেই ঝোপঝাড়ের মধ্যে চলছে মেলার নামে এই জুয়ার ব্যবসা । দুই একদিনের মধ্যে সুযোগ বুঝেই শুরু হবে যাত্রা নামে অশীল নৃত্য বলে জানান এলাকাবাসী। দৌলতপুর উপজেলার মাইকে এসব লোভনীয় বিজ্ঞাপন শুনে লটারি কিনতে পিকআপ, ব্যাটারিচালিত ভ্যান, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে থাকা লটারি বিক্রেতাদের কাছে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ। কেউ কেউ ২০ টাকা মূল্যের এই লটারি ৭থেকে ১০ টিও কিনছেন। কেউ কেউ আবার ১৫টি লটারিও কিনছেন।
মেলা কমিটির রাকিব সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি বলেন আমি এই মেলা কমিটির কেউ না আপনারা শাহাবুল ও ওবায়দুলের সাথে কথা বলুন।শাহাবুল ও ওবায়দুলের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলেন আমরা মেলার অনুমতি নিয়েই মেলা চালাচ্ছি।’ র্যাফেল ড্র এর ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা বলেন প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই লটারি চালাচ্ছি। এবং এলাকার স্থানীয় কিছু নেতারাও আমাদের সাথে আছে তাই আমাদের লটারি চলাতে কোন রকম অসুবিধা হচ্ছে না । এক অভিভাবক বলেন সামনে এস এস সি পরীক্ষা মেলার নামে উচ্চ শব্দে মাইকে গানবাজনার কারনে ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনা করতে পারছেনা। আরেক জন এলাকাবাসী জানান মেলা ও লটারি কারনে আমাদের এলাকার চুরি ও ছিনতাই বিভিন্ন ধরনের অপরাধ কর্ম-কান্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। মেলার নামে এই অবৈধ লটারি বন্ধের জন্য প্রশাসনের প্রতি সু-দৃষ্টি কামনা করেছের সচেতন মহল।
উপদেষ্টা: বেলাল আহাম্মেদ, প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃ জাহিদুল হক ডন, বার্তা সম্পাদক : যাবির মাহমুদ
সম্পাদকীয় কার্যালয়: মঙ্গলবাড়িয়া বাজার, কুষ্টিয়া।
মোবাইল : ০১৭১২-৮১৪০৫৯,ইমেইল : thedonnews24@gmail.com।
ই-পেপার কপি