ডন ডেস্ক:-
কুষ্টিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় আধিপত্যকে কেন্দ্র করে দু‘পক্ষের মধ্যে বিদ্যমান দ্বন্দের জেরে কলেজ শিক্ষক তোফাজ্জেল হোসেনের ডান হাতের কব্জি বিছিন্ন ও হত্যা চেষ্টা মামলায় জড়িত অভিযোগে সাতজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। শুক্রবার (৩ জুন) রাতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমে র্যাব-১২, সিপিসি-১, কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।আসামিদের কাছ থেকে ৩ রাউন্ড গুলি, ম্যাগজিনসহ ১টি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। র্যাব-১২, সিপিসি-১, কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান জানান, কলেজ শিক্ষক তোফাজ্জেল হোসেন কুমারখালি বাঁশগ্রাম কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। তিনি কুমারখালি বাগুলাট ইউনিয়নের শালঘর মধুয়া এলাকার জালা বিশ্বাসের ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় আধিপত্যকে কেন্দ্র দু‘পক্ষের মধ্যে বিবদমান দ্বন্দের জেরে এ ঘটনা। জড়িতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিষয়টি স্বীকার করেছেন। গ্রেফতার কৃতরা হলেন, একই এলাকার সলেমানের ছেলে মোশারফ হোসেন মশা (২৬), মোকাদ্দেস হোসেনের ছেলে নাজিম উদ্দিন (২৭), আব্দুল খালেকের ছেলে সামাদ (২৭), আইয়ুব আলীর ছেলে মুহাইমেন হোসেন (২৭), সামেদ আলীর ছেলে হালিম (৪০), আব্দুল খালেকের ছেলে পলাশ (২৩) ও গোপাল শেখের ছেলে মুকুল (৪২)। তারা সকলেই একই গ্রামের বাসিন্দা।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার জিয়ারখী ইউনিয়নের বংশীতলা নতুন ব্রিজের ওপর দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় আধিপত্যকে কেন্দ্র দু‘পক্ষের মধ্যে পূর্বশত্রুতার জেরে প্রকাশ্যে কলেজ শিক্ষক তোফাজ্জেল বিশ্বাসের ডান হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন ও হত্যা চেষ্টা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এঘটনায় বুধবার কুষ্টিয়া মডেল থানায় ওই শিক্ষকের ছেলে নাজমুস সাকিব বাদী হয়ে ২৬জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫-৬জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।