ডন ডেস্ক:-
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় রওশনা (৪০) নামে এক নারীকে হত্যার দায়ে দেবরকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়াও তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে তাদেরকে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে উক্ত আদালত। সোমবার ( ৪ জুলাই) দুপুরে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের পশ্চিম চর রামকৃষ্ণপুর ৮ নম্বর এলাকার মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে মো. শুকুর মালিথা। তাকে দণ্ডবিধি ১৯৬০ এর ৩০২/৩৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেয় আদালত। রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন কারদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. শুকুর মালিথা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর উক্ত আসামিকে কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। আদালত এবং এজাহার সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের পশ্চিম চর রামকৃষ্ণপুর গ্রামের আব্দুল জলিল চৌকিদারের স্ত্রী রওশনা (৪০) ২০১৩ সালে ২০ মার্চ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ির উঠানে মাটির গর্ত করার সময় আসামি শুকুর মালিথা জলিলের মেয়ে বিথি (৭) কাছে পানি চায়। এসময় বিথি পানি না দিয়ে চলে গেলে। আসামি শুকুর মালিথা বিথিকে অশ্লিল ভাষায় বকাবকি করে। এ সময় বিথির মা রওশনা প্রতিবাদ করলে শুকুরের সাথে রওশনা বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পরে। এর এক পর্যায়ে আসামি শুকুর মালিথা কোদাল দিয়ে রওশনার মাথার পেছনে আঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে পরে। এর পর ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশের সুরতহাল শেষে মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে।
এ ঘটনায় নিহত রওশনার ভাই আলী আজগর বাদী হয়ে ২০২০ সালের মার্চ মাসের ২০ তারিখে দৌলতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ফয়সাল হোসেন ২০১৩ সালের ২ অক্টোবর আদালতে মামলার প্রতিবেদন দাখিল করেন। এর পর আদালত এ মামলায় স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে সোমবার (৪ জুলাই) রায় ঘোষণার দিন ধার্য করে।