ডন ডেস্ক:-
সোমবার (৮ আগস্ট) সকাল ১০ টায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা এঁর ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা, সেলাই মেশিন বিতরণ, আর্থিক সহায়তা প্রদান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গোপালগঞ্জ জেলা সরাসরি ভার্চুয়াল মিটিংয়ে এবং বাকি ৬৩ জেলার অতিথিগন জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত হয়ে এ প্রোগ্রাম প্রত্যক্ষ করেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, এমপি, প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মিটিংয়ে সংযুক্ত হয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছার জীবন ও আদর্শের উপর বাঙ্গালী জাতির শিক্ষনীয় বিষয়ে আবেগঘন বক্তব্য রাখেন। এ সময় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ৫ জন নারীকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য “বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব ” পদক প্রদান করা হয়। এ ছাড়াও বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সারা দেশে দুস্থ ও অসহায় নারীকে নগদ টাকা ও সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক কুষ্টিয়া মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামের সভাপতিত্বে দুপুর সাড়ে ১২টায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা এঁর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক কুষ্টিয়া এ সময় বলেন বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা বঙ্গবন্ধুকে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে খুব কাছ থেকে সাহস ও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিলেন বিধায় আজ আমারা স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার কুষ্টিয়া মোঃ খাইরুল আলম বলেন বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা ১৯৩০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জে জন্ম গ্রহণ করেন। বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মিশনারী স্কুল থেকে শুধুমাত্র প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহন করলেও তিনি অত্যন্ত জ্ঞানী, বুদ্ধিদীপ্ত, বিচক্ষণ, দায়িত্ববান ও ধৈর্যশীল নারী ছিলেন তাই তিনি বঙ্গবন্ধুর মত নেতাকে সব সময় সাহস, অনুপ্রেরণা ও সঠিক পরামর্শ প্রদান করতে পারতেন। পুলিশ সুপার আরো বলেন বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা ৬ দফা আন্দোলন, ১১ দফা আন্দোলন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ১৯৭০ সালের পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন, ১৯৭১ সালের অসহযোগ আন্দোলন ৭ই মার্চের ভাষণ ও সর্বোপরি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পিছনে বঙ্গবন্ধুকে সাহস ও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে খোকসা উপজেলায় ৫টি, কুমারখালী ৭টি, ভেড়ামারায় ৫টি, দৌলতপুর ৭টি, মিরপুর ৬টি, সদর উপজেলায় ৭টি এবং জেলা পর্যায়ে ৮টি সহ সর্বমোট ৪৫টি সেলাই মেশিন দুস্থ ও অসহায় নারীদের মাঝে বিতরণ করা হয় এবং দুস্থ ও অসহায়দের মাঝে ১৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়। একইদিন বিকাল সাড়ে ৩ টায় বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়াম, রাজারবাগ, ঢাকা হতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদত বার্ষিকী ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ২০২২ অনুষ্ঠিত হয়। ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং বাংলাদেশ পুলিশের সকল ইউনিট ভার্চুয়াল এ মিটিং সংযুক্ত থেকে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে পাঠানো আইজিপি মহোদয়ের পুরস্কার স্কুল ছাত্র – ছাত্রীদের মাঝে তুলে দেন সংশ্লিষ্ট পুলিশের ইউনিট প্রধান গণ। পুলিশ সুপার কুষ্টিয়া মোঃ খাইরুল আলম এ সময় কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজ এর ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পযন্ত কুইজ প্রতিযোগিতায় ৩ জন এবং একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর কুইজ প্রতিযোগিতায় ৩ জনসহ সর্বমোট ৬ জন বিজয়ীর মধ্যে পুলিশ সদর দপ্তর কর্তৃক প্রেরিত পুরস্কার বিতরণ করেন। এ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ক্রাইম অ্যান্ড অপস্ (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত), মোঃ ফরহাদ হোসেন খাঁন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, (জেলা বিশেষ শাখা), মোঃ রাজিবুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ), মো: নাজমুল আরেফিন, অধ্যক্ষ, পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজ, বিজয়ী ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের অভিভাবক এবং কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের অন্যান্য পদমর্যাদার অফিসার ও ফোর্সগণ।