নিজস্ব প্রতিবেদক:-
কুষ্টিয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে দুই শিশু কন্যাকে নিয়ে নৌকা থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মা। তিন যুবক নিজের জীবন বাজি রেখে নদীতে লাফিয়ে তাদের উদ্ধার করে। উদ্ধারের পর তাদের নিয়ে কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউপি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে যাওয়া হয়। উদ্ধারকৃতরা হলেন, কয়া ইউনিয়নের ঘোড়ার ঘাট এলাকার হাফিজুর রহমানের স্ত্রী মেঘনা খাতুন (৩০), তার দুই শিশুকন্যা হাফজা (২) ও হাফিজা (৪)। মেঘনা খাতুন জানান, তার স্বামীর তালাকপ্রাপ্ত পূর্বের স্ত্রীর এক মেয়ে রয়েছে সেই মেয়েকে নিয়ে নানা অভিযোগ এনে আমাকে মারধর করে। আমাকে প্রায় সময় বাড়ি থেকে বের করে দিতে চায়। কোথায় যাবো কি করবো ভেবে না পেয়ে আত্মহত্যা করতে পানিতে লাফ দি। পরে তিন যুবক পানিতে লাফিয়ে আমাদের উদ্ধার করে। হাফিজুর রহমান বলেন, আমার আগের পক্ষের এক মেয়ে রয়েছে সেই মেয়েকে নিয়ে প্রায়ই অশান্তি সৃষ্টি করে। আজ (শনিবার) বিদ্যুৎ লাইনে হাত দিয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিল। আমি এর জন্য রাগারাগী করি। পরে জানতে পারি আমার দুই মেয়েকে নিয়ে গড়াই নদীতে লাফিয়ে আত্মহত্যার করতে গিয়েছিল। মেঘনা ও তার দুই শিশুকন্যাকে উদ্ধারকারী মামুন জানান, আমি কুষ্টিয়া থেকে কয়া আসার পথে নৌকা থেকে এক মহিলা দুই বাচ্চা নিয়ে নদীতে লাফাতে দেখি। সঙ্গে সঙ্গে আমি নৌকা থেকে লাফিয়ে পরি আমার পেছন পেছন আরো দুই জন লাফ দেয়। আমরা তিনজন মিলে বাচ্চা সহ তিন জনকে উদ্ধার করি। কয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন জানান, পারিবারিক কলহের জেরে ২ কন্যা শিশু নিয়ে মা নদীতে লাফ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। লোকজন উদ্ধার করে আমার কাছে নিয়ে আসলে আমি কলহের মীমাংসা করে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি।