ডন ডেস্ক:-
কুষ্টিয়ার খোকসায় উপজেলার জয়ন্তীহাজরা ইউনিয়নের সাপের কামড়ে শাশুড়ি জয়নব বেগম ও নববধূ কামরুন্নাহারের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে তাদের দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার জয়ন্তী হাজরা ইউনিয়নের মামুদানীপুর গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের স্ত্রী জয়নব (৫০) ও ছেলের নববধূ কামরুন্নাহার (২০) দুজনকে সাপের কামড় দেয়। এর আগে গৃহকর্তা আব্দুস ছাত্তারের পরিবারের লোকেরা রাতের খাবার থেয়ে ঘুমতে যায়। রাত ২টার পর নববধূ কামরুন্নাহার তার স্বামী হাবিবুল বাহারকে জানান তার ঘাড়ে কিসে যেনো কামড় দিয়েছে। এই সময় পাশের ঘর থেকে তার শ্বাশুরী জয়নব বেগমও স্বামী আব্দুুস ছাত্তারকে জানান তার মুখে কিসে যেনো কামড় দিলো। রাতেই শুরু হয় গ্রামের ওঝাদের অপচিকিৎসা। এক পর্যায়ে সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে তাদেরকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। সেখানে ভর্তিকরে চিকিৎসাও দেওয়া হয়। কিছু সময় পর অসুস্থ্য নববধূ ও শ্বাশুরীকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে নেওয়ার পর আগে নববধূ ও পরে তার শ্বাশুরী মৃত্যুবরণ করেন।
খোকসা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে খোকসা উপজেলার জয়ন্তী হাজরা ইউনিয়নের মামুদানীপুর গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের স্ত্রী জয়নব (৫০) কে চোয়ালে ও ছেলের নববধূ কামরুন নাহার (২০) কে ঘাড়ে সাপের কামড় দেয়। স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাদেরকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। জয়ন্তী হাজরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সকিব খান টিপু জানান, সোমবার দিনগত রাতে তার ইউনিয়নের মামুদানী পুর গ্রামে গৃহকর্তা আব্দুস ছাত্তারের স্ত্রী জয়নব ও তার ছেলের নববধূ কামরুন নাহারকে রাত আড়াইটার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় সাপে কামড় দেয়। রাতেই শুরু হয় গ্রামের ওঝাদের অপচিকিৎসা। সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে তাদেরকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। এরপর দুজনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে নেওয়ার পর আগে নববধূ ও পরে তার শ্বাশুরী মৃত্যুবরণ করেন। তিনি আরো জানান, মাত্র ৬ মাস আগে কামরুন্নাহারের বিয়ে দিয়ে এই বাড়িতে আনা হয়। মেহেদীর রং মুছার আগেই তার জীবনের প্রদীপ নিভে গেলো। খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার কামরুজ্জামান সোহেল বলেন, রুগীদের মুমূর্ষ অবস্থায় ভোরে হাসপাতলে আনেন।প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয় তাদের সাপে কেটেছে। তবে বিষয়টি নিশ্চিত করা ও উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। নিহত গৃহকত্রীর ছেলে জয়ন্তী হাজরা ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগতা মুন্নাফ হোসেন জানান, রাতে প্রায় একই সময়ে তার মা জয়নব ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী কামরুন্নাহারের পোকায় কামড় দেওয়া কথা জানান। ভোরে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে কুষ্টিয়ায় রেফার্ড করা হয়। সেখানে নিয়ে চিকিৎসার এক পর্যায়ে আগে নববধূ কামরন্নাহার ও পরে জয়নব বেগমের মৃত্যু হয়। এই বিষয়ে মুঠোফোনে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আশরাফুল ইসলাম জানান, জয়নব (৫০) ও কামরুন নাহার (২০) নামে ওই দুইজন হাসপাতলে পৌঁছানোর আগেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। সাপে কামড় দিয়েছে কিনা বিষয়টি নিশ্চিত করে এখন বলা সম্ভব হচ্ছে না। যেহেতু এটি
মেডিকেলের বিষয় ময়নাতদন্তের পরে মৃত্যুর কারণ সর্ম্পকে জানা যাবে।