মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
ফায়ার ফাইটার মেহেদী আজাদ ডুবুরি না হয়েও জিবনের ঝুঁকি নিয়ে পানির নিচ থেকে লাশ উদ্ধার করে আগামীকাল থেকে ৩দিন ব্যাপী লালন স্মরণোৎসব শুরু কুষ্টিয়ার ঝাউদিয়ায় দুই গ্রুপের ব্যাপক গোলাগুলি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বজ্রপাতে নারীসহ চারজনের মৃত্যু কুষ্টিয়া আইলচারা ইউনিয়ন কৃষকলীগ নেতা কলম জোয়ার্দার এর খুটির জোর কোথায় শহিদ লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জন এর মৃত্যুতে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার শোকবার্তা মাগুরা ও ঝিনাইদহে সড়কে আট ঘন্টার ব্যবধানে নিহত -৫ কক্সবাজারের চকরিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালনা করার সময় লেফটেন্যান্ট তানজিম ছরোয়ার নির্জন (বিএ-১১৪৫৩) শাহাদাত বরণ করেছেন হাটশহরিপুর ফরাজিপাড়ায় বসতবাড়িতে লুটপাট’ থানায় অভিযোগ জনি হত্যা চেষ্টা মামলায় ০৩ পৌর কাউন্সিলর গ্রেফতার

কুমারখালীতে ২ মাদ্রাসাছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে থানায় মামলা

Reporter Name / ২৭৫ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম : শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৬:৪৬ অপরাহ্ন

ডন ডেস্ক:-

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে দুই মাদ্রাসাছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় অভিযুক্ত বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। হত্যার হুমকি দিয়ে গত এক মাস ধরে তাদের যৌন নিপীড়ন করা হয়। তবে যৌন নিপীড়নের বিষয়টি ফাঁস হওয়ার পর থেকে বাড়ির মালিক আত্মগোপন করেছেন।অভিযুক্ত বাড়ির মালিকের নাম হাজী মো. শহিদুল ইসলাম। তিনি পৌরসভার দুর্গাপুর এলাকার মৃত নুরুল হক বিশ্বাসের ছেলে। তিনি উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি কার্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত ট্যাক্স কালেক্টর। মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, মাসিক ১০ হাজার টাকা ভাড়ার চুক্তিতে প্রায় সাত মাস আগে মহিলা মাদ্রাসাটি দুর্গাপুর এলাকার হাজী মো. শহিদুল ইসলামের বাড়িতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে বর্তমানে বিভিন্ন শ্রেণির ৩৩ জন ছাত্রী ও তিনজন শিক্ষিকা রয়েছেন। মাদ্রাসার একটি কক্ষে বাড়ির মালিক ও তার স্ত্রী থাকেন। মোবাইল চার্জ দিতে শিক্ষার্থীরা প্রায়ই ওই কক্ষে যায়। সেই সুযোগে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে প্রায় মাসখানেক আগে প্রথমে যৌন নিপীড়ন করেন বাড়ির মালিক হাজী মো. শহিদুল ইসলাম। এরপর থেকে হত্যার হুমকি দিয়ে ওই ছাত্রীকে নিয়মিত যৌন নিপীড়ন করে আসছিলেন তিনি। গত বুধবার হেফজ পড়ুয়া আরেক ছাত্রী মোবাইল চার্জ দিতে গিয়ে শহিদুলের অপকর্ম দেখে ফেলে। এ সময় শহিদুল দেখা ফেলা ওই ছাত্রীকে ২৩০ টাকা দিয়ে ঘটনাটি অন্য কাউকে না জানানোর প্রস্তাব দিলে ওই ছাত্রী রাজি হয়নি। এতে তাকেও হত্যার হুমকি দিয়ে যৌন নিপীড়ন করা হয়।
নির্যাতনের শিকার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী জানায়, তার বুকে ও গলায় হাতের আঙুলের আঁচড় লেগে আছে। এ ঘটনার পর থেকে প্রভাবশালী একটি মহল থানায় অভিযোগ না করে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। অভিযোগ রয়েছে ওই চক্রটি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এবং নির্যাতনের শিকার দুই ছাত্রীর পরিবার ও স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করায় চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় থানায় মামলা হচ্ছিল না।
শুক্রবার মাদ্রাসার দুই শিশু শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের বিষয়টি সংবাদ সম্মেলন চলাকালে গণমাধ্যমকর্মীরা কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মো. খাইরুল আলমকে অবহিত করলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট থানার ওসির সাথে মুঠোফোনে কথা বলেন এবং মামলা দায়েরের নির্দেশ দেন। একই সাথে পুলিশ সুপার ঘটনাটির সর্বশেষ আপডেট এবং মামলা দায়ের।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর ....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর