ডন ডেস্ক:-
কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডে তেবাড়ীয়া এলাকার গড়াই নদীর যদুবয়রা সেতুর পিলারের কাছ থেকে দিনে-দুপুরে অবাধে চলছে অবৈধভাবে বাংলা ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন।যদুবয়রা সেতুর নিচে, পিলারের থেকে ও পাড় ঘেষে দিন-রাত ড্রেজার মেশিন বসিয়ে প্রতিদিন প্রভাবশালী মহলটি লক্ষ লক্ষ ঘনফুট বালু তোলা হচ্ছে । বালু মহল ও মাটি ব্যাবস্হপনা আইনে সেতুর থেকে সর্বনিম্ন ১ কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ থাকলেও কুমারখালী গড়াই নদী যদবয়রা সেতুর নিচে ১০০ মিটার সিমানার মধ্যে তোলা হচ্ছে বালু।ড্রেজার দিয়ে ব্রীজের পিলারের নিকট থেকে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে যদুবয়রা সেতু। সরে যাচ্ছে পাথরের ব্লক এবং ধসে যাচ্ছে বাঁধ ও ফসলী জমি।এভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু কাটার ফলে সেতুর আশ-পাশে ও নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলো পড়েছে হুমকির মুখে। প্রশাসনের নাকের ডগায় এমন কর্মকাণ্ড চলমান থাকলেও রহস্যজনক কারণে নিরব প্রশাসন।
সরেজমিন দেখা যায়, নিষিদ্ধ অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে প্রতিদিন ভোর থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত প্রায় ২৪ ঘণ্টাই ৫-৬টি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে বালুর পাহাড় গড়ে তোলা হয়েছে। আর তা শত শত ড্রামট্রাক,ট্রাক্টর ও টলি দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জেলার বিভিন্ন স্থানে। ড্রেজারের মাধ্যমে যে চক্রটি বালু উত্তোলন ও বিক্রি করছে তাদের এ সংক্রান্ত কোনো অনুমতি বা অনুমোদনও নেই। প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার বালু। পেশিশক্তির বলে সিন্ডিকেটটি অবৈধভাবে বালু বিক্রি করে আসছে। এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ, তীব্র অসন্তোষ ও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। নদীর তীরবর্তী এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে অব্যাহত বালু উত্তোলনের ফলে ভয়াবহ নদী ভাঙনের আশংঙ্কা করছেন তারা। ইতোমধ্যে নদীর তীরবর্তী ঘর-বাড়িসহ বহু ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বহু লোকজন ঘর-বাড়ি ও ফসলি জমি হারিয়ে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে অনেকেই। এভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু কাটা অব্যাহত থাকলে অচিরেই মানচিত্র থেকে মুছে যাবে গড়াই নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলি। তারা আরো অভিযোগ করেন,এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে প্রতিবাদ করা হলেও দেওয়া হয় হুমকি। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলে কিছু বলতে পারছে না। বালু উত্তোলনের সরকারি নীতিমালা থাকলেও কোন তোয়াক্কা করেন না ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী চক্রটি। সেই সাথে চলছে তাদের হরিলুট। এতে সরকার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এসব ড্রেজার মেশিন বন্ধ করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান তারা। নদী এবং সেতুর পিলারের কাছ থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু তোলার কোন অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে বালু উত্তোলনকারী অনন্ত ওরফে অন্তুু মুঠো বলেন এই বালির ঘাট ইজারাদারের কাছে আমাদের কুমারখালী মেয়র সাহের ছেলে কিনে নিয়েছে। মেয়র সাহেবের ছেলের ঘাট আমি পরিচালনা করি।আমরা বালু তুলছি তাতে আপনাদের সমস্যা কিসের। বাংলা ড্রেজার দিয়ে নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলেন সরকারী কোন নিয়নে আছে প্রশ্ন করলে অবৈধ্যভাবে বালু উত্তোলন কারী অন্তুু বলেন আমি এখন রাজবাড়ি আছি আপনাদের সাথে পরে কথা বলবো বলে ফোন রেখেদেন তিনি। আইন উপেক্ষা করে বালু উত্তোলন বন্ধে ও সেতু এবং নদীর তীরবর্তী এলাকা রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন সরকার এমনটাই আশাবাদ ব্যক্ত করেন সুশীলসমাজ।