ডন ডেস্ক:-
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর পদ্মা নদী থেকে জেলের জালে আটক হওয়া বিষধর রাসেল ভাইপার সাপ গড়াই নদীতে ছেড়ে দেওয়ায় আতংকগ্রস্থ হয়ে পরেছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার কয়া ইউনিয়নের সৈয়দ মাসুদ রুমী সেতুর নীচে গড়াই নদীতে সাপটি অবমুক্ত করেন উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তারা। এদিকে গড়াই নদীতে বিষাক্ত রাসেল ভাইপার সাপটি ছেড়ে দেওয়ায় আতঙ্কে রয়েছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা। তারা বলেন, নদীর পাড়ে হাজার হাজার মানুষের বসবাস। এখানকার মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে নদী ব্যবহার করেন। কিন্তু এখানে এত ভয়ংকর সাপটি ছেড়ে দেওয়া ঠিক হয়নি। জেলে মো. শামিম হোসেন বলেন, প্রতিদিনই দোয়াড়ে জাল পেতে পদ্মায় তিনি মাছ ধরেন। মঙ্গলবার সকালে জাল তুলে দেখেন একটি অন্যরকম সাপ। যা আগে কখনও দেখেননি। তিনি সহ এলাকার লোকজন প্রথমে সাপটিকে অজগর বলে ধারনা করেন। পরে বন বিভাগের লোক এসে জানান এটি বিষাক্ত রাসেল ভাইপার। এবং তারা সাপটি নিয়ে গেছেন। উপজেলা বনবিভাগের কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম জানান, পদ্মা নদীতে মাছ ধরা দুয়ার জালে বিষাক্ত রাসেল ভাইপার আটকা পড়ে। সকালে খবর পেয়ে সাপটি উদ্ধার করা হয়। এবং গড়াই ব্রীজের নিচে অবমুক্ত করা হয়। উপজেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি মো. আকরাম হোসেন বলেন, বিষাক্ত সাপ পদ্মা থেকে উদ্ধার করে গড়াইয়ে ছেড়ে দিয়ে লাভ কি হলো?বরং গড়াই নদীর পারে পদ্মার চেয়ে বেশি লোকবসতি রয়েছে। সাপটি অনেক দুরে কোথাও ফাঁকা স্থানে ছেড়ে দেওয়া দরকার ছিল। এ বিষয়ে জেলা বন কর্মকর্তা জি এম মোহাম্মদ কবির বলেন, ধারণা করা হচ্ছে সাপটি ভারত থেকে পদ্মা নদী হয়ে এসেছে। সাপটি উদ্ধার করে গড়াই নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে। এতে আতঙ্কের কিছু নেই, নদী বেয়ে অন্যত্র চলে যাবে। কুমারখালী থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, এখানে আমাদের কিছু করার নেই। বিষয়টি বনবিভাগের, বিষয়টি তারাই ভাল বলতে পারবেন।