নিজস্ব প্রতিনিধি:-
সৃষ্টি কর্তার পরেই মানুষ ডাক্তারের উপর ভরসা করে।ডাক্তার হলো একটি মহান ও পবিত্র পেশা। কিন্তুু সেই মহান ও পবিত্র পেশাকে পুজি করে একজন জর্দ্দা ব্যবসায়ী, অষ্টম শ্রেনী পাশ ব্যক্তি লক্ষন ভুয়া ডাক্তার বনে গেছে। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়া বাজারের উপর লক্ষন কুমার কুন্ডু নামহীন চেম্বার খুলে সাধারণ মানুষের সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছে।লক্ষন, জর্দ্দার ব্যবসায়ী হিসেবে ঝাউদিয়াসহ আশপাশ এলাকায় বেশ সুপরিচিত ছিল।লক্ষনের পিতা মৃত সুনিল গ্রাম্য ডাক্তার হিসেবে বেশ খ্যাতি ছিল। সুনিল ডাক্তার যখন তার চেম্বারে রুগি দেখতেন তখন মাঝে মাঝে তার চেম্বারে লক্ষন যেতেন। লক্ষন অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত লেখাপড়া করেছিল। এর পর আর তার লেখাপড়া করা হয়নি পরে জর্দ্দার ব্যবসায়ে জড়িয়ে পড়ে।দীর্ঘ জীবন ধরে জর্দ্দার ব্যবসা করে আসছে।হঠাৎ সুনীল ডাক্তার মারা যাওয়ার পরে তার চেম্বার টা লক্ষন দখল করে নিজেই রাতারাতি ডাক্তার বনে যান।লক্ষনের নেই কোন ডাক্তার এর সার্টিফিকেট বা নেই কোন রকম চিকিৎসা সম্পর্কিত শর্ট কোর্চ করার সার্টিফিকেট। অথচ নির্দিধায় চিকিৎসার মত মহৎ পেশাকে পুজি করে কয়েক লক্ষাধিক টাকার মালিক হয়েছেন। সাধারন মানুষের সাথে চিকিৎসার নামে প্রতারনা করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এলাকাবাসির অভিযোগ সকল রোগের চিকিৎসা করেন লক্ষন নামের ভুয়া ডাক্তার। এলাকাবাসি কেও তার সার্টিফিকেট দেখতে চাইলে বা সে ভুয়া ডাক্তার বললে তিনি তাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দেয়। বিভিন্ন কোম্পানির রিপেজেন্ডটিভ এর সাথে আতাত করে চিকিৎসার নামে প্রতারনা করে আসছে লক্ষন।
লক্ষনের সাথে মুটোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন অষ্টম শ্রেনি পাশ করে রোগি দেখছি এটা দেখার জন্য এলাকায় প্রশাসন আছে,ম্যাজিস্ট্রেট আছে, এসআই আছে তারা দেখবিনে। এই বিষয়ে কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন মহাদয়ের সাথে মুটোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।তার পরও আগামিকাল বিষয়টা দেখছি। এলাকাবাসি জোড় দাবি করেন এই অশিক্ষিত, জর্দ্দা ব্যবসায়ী, ভুয়া ডাক্তারের বিষয়ে প্রসাশন তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য।