বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০১:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
ফায়ার ফাইটার মেহেদী আজাদ ডুবুরি না হয়েও জিবনের ঝুঁকি নিয়ে পানির নিচ থেকে লাশ উদ্ধার করে আগামীকাল থেকে ৩দিন ব্যাপী লালন স্মরণোৎসব শুরু কুষ্টিয়ার ঝাউদিয়ায় দুই গ্রুপের ব্যাপক গোলাগুলি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বজ্রপাতে নারীসহ চারজনের মৃত্যু কুষ্টিয়া আইলচারা ইউনিয়ন কৃষকলীগ নেতা কলম জোয়ার্দার এর খুটির জোর কোথায় শহিদ লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জন এর মৃত্যুতে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার শোকবার্তা মাগুরা ও ঝিনাইদহে সড়কে আট ঘন্টার ব্যবধানে নিহত -৫ কক্সবাজারের চকরিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালনা করার সময় লেফটেন্যান্ট তানজিম ছরোয়ার নির্জন (বিএ-১১৪৫৩) শাহাদাত বরণ করেছেন হাটশহরিপুর ফরাজিপাড়ায় বসতবাড়িতে লুটপাট’ থানায় অভিযোগ জনি হত্যা চেষ্টা মামলায় ০৩ পৌর কাউন্সিলর গ্রেফতার

কুমারগারাতে পচাঁ পুুকুর ও দুর্গন্ধযুক্ত টয়লেট পাশে চরম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে দই

Reporter Name / ৩১৯ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম : শনিবার, ১ অক্টোবর, ২০২২, ৭:৪৪ অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার:-

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কুমারগারা এলাকায় ভেজাল দই ও মিষ্টি তৈরীর কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে।
কোনো রকমের অনুমোদন ছাড়াই চরম অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে শ্যামল ঘোষ ও তার দুই ছেলে টোটন ও কৃষ্ণ প্রতিদিন তৈরী করছে শত শত কেজি ভেজাল দই ও মিষ্টি। নেই কোনো সাইনবোর্ডেরর চিহৃ, লেবেল ও ট্রেড লাইসেন্স। বাইরে থেকে দেখে বুঝার কোনো উপায় নেই যে এটা কোন দই ও মিষ্টি তৈরির কারখানা। কিন্তু দই মিষ্টি তৈরীর নিরাপদ আশ্রয়স্হান। কোন অনুমোদন ছাড়াই গোপনে গড়ে তোলা হয়েছে এই দই মিষ্টি তৈরীর কারখানাটি। জেলার বিভিন্ন দোকানে, বিয়ের অনুষ্ঠানে ও শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করা হচ্ছে এখানকার তৈরী দই মিষ্টি। আর সাধারণ মানুষেরা না জেনে এসব দই খেয়ে পেটের পীড়াসহ নানান জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। যেন দেখার কেউ নেই,
অনুমোদনহীন এই কারখানায় কর্মরত ছোটবড় ৩০ থেকে ৩৫ জন কারিগর ও শ্রমিকরা খালি গায়ে, অপরিস্কার ও স্যাঁতস্যাতে দুর্গন্ধময় স্থানে তৈরি করছে বিষাক্ত রং মেশানো দই ও মিষ্টি। সরেজমিনে, কারখানায় প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে কারখানার প্রবেশ মুখে দরজায় পাশেই পচাঁ পুকুর ও কারখানার ভিতরে দই জমানোর জায়গায় দুর্গন্ধযুক্ত টয়লেট। দই মিষ্টি তৈরীর কাজে এই পচাঁ দুর্গন্ধযুক্ত পুকুরের পানি ব্যবহার করা হচ্ছে ও টয়লেট থেকে মাছি এসে দই মিষ্টিতে বসতে দেখা যায়। টয়লেট থেকে এসে হাত না ধুয়ে মহিলা ও পুরুষ শ্রমিকরা উন্মুক্ত ড্রাম ও পাতিলে হাত ডুবিয়ে মগ দিয়ে দুধ নিয়ে তৈরি করছে দই ও মিষ্টি। এ সময় দেখা যায়, দই তৈরির জন্য বহু আগে প্রস্তুতকৃত ময়দার খামি ও দুধের উপর হাজার হাজার মাছির দখলে। ময়লা-গন্ধযুক্ত ড্রাম আর হাউজে মজুদ করা দুধ ও দইয়ে মাছির ভনভনানি, সেই সাথে সেখানে অসংখ্য মশা-মাছি পড়ে রয়েছে। ভেজাল কারখানা সম্পর্কে এলাকার স্থানীয় একজন জানান,সবার সামনে এমন অপরিস্কার পরিবেশে দই মিষ্টি তৈরী হলেও প্রশাসনের কোন নজরদারী নেই। এখানে কোন অভিযান চলানো হয় না। ম্যানেজ করে গড়ে তোলা হয়েছে অনুমোদনহীন অবৈধ প্রতারণামূলক এই দই কারখানাটি। দই কারখানার মালিক টোটনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমি সবাইকে ম্যানেজ করে ব্যবসা করছি। আপনারা যদি লেখা লেখি করনে তাহলে কিছুতা সমস্যা হবে তাতে আমাদের কিছুই হবেনা। কারন জানতে চাইলে টোটন বলেন আমরা মাসিক চুক্তিতে কারখানা পরিচালনা করছি। এই অবৈধ দই কারখানা বন্ধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরেরর হস্তক্ষেপ কামনা করেন সচেতন এলাকাবাসী।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর ....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর