ডন ডেস্ক:-
দৌলতপুর উপজেলার অনেক মানুষ তাকে এক সময় সমীহ করতেন। তিনিও সবার সঙ্গে সদ্ভাব বজায় রাখতেন। সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তিনি কোথাও প্রধান অতিথি আবার কোথাও বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকতেন। রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে তার ছিল গভীর সখ্য। দামি গাড়িতে চড়তেন। প্রায়ই গাড়ির মডেল বদলাতেন। তিনি হলেন, বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া জনতা কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের চেয়ারম্যান খন্দকার আবুল কালাম আজাদ। তিনি আজাদ খন্দকার নামে এলাকায় পরিচিত। গ্রাহকদের শতকোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে দায়ের করা ৬০টিরও বেশি মামলার মধ্যে ৩৬টি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে আত্মগোপন করেছিলেন তিনি। এলাকা ছাড়ার ৫ বছর পর মঙ্গলবার গভীর রাতে রাজধানীর কল্যাণপুরে একটি আবাসিক হোটেল থেকে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন আজাদ খন্দকার। গতকাল বুধবার গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে তিনি দৌলতপুরের সর্বত্র আলোচনার কেন্দ্রে উঠে আসেন। আচার ব্যবহারে খুবই বিনয়ী এই মানুষটার মুখমণ্ডলে কীসের যেন চিহ্ন দেখা যাচ্ছে এটা ঠিক বুঝতে পারলাম না!