ডন ডেস্ক:-
অপহরণের নাটক সাজিয়ে নিজেই নিখোঁজ হন তাফহীমুল আলম নিশান নামে এক কলেজ ছাত্র। এরপর তিনি তার বাবার কাছে মেসেজের মাধ্যমে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। নগদ এজেন্টের দোকানে সেই টাকা তুলতে গিয়ে নিশান ধরা পড়েন র্যাবের হাতে। নিশান অনলাইন জুয়ায় আসক্ত। অনলাইন জুয়ায় লগ্নি করার উদ্দেশ্যে এমন নাটক সাজানোর কথা স্বীকার করেছেন তিনি। নিজের পাতা ফাঁদে নিজেই ফেঁসে গেছেন। ২৫ অক্টোবর দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর এলাকায় একটি নগদ এজেন্টের দোকান থেকে নিশানকে আটক করে র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের একটি দল। পরবর্তীতে বিকাল ৪টায় র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, গত ২৩ অক্টোবর রাতে যশোর সদর উপজেলার পালবাড়ি এলাকা হতে নিশান নিখোঁজ হন। পরবর্তীতে রাত ১২টার দিকে নিশানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে তার বাবাকে মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হয় যে, তার ছেলে নিশানকে অপহরণ করা হয়েছে এবং ছেলেকে জীবিত ফিরে পেতে চাইলে তিন লাখ টাকা দিতে হবে। মুক্তিপণের টাকা পাঠানোর জন্য ভিকটিমের বাবাকে একটি নগদ অ্যাকাউন্ট নম্বর দেওয়া হয়। টাকা দিতে ব্যর্থ হলে অপহৃতকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। নিশানের বাবা ২৪ অক্টোবর যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। নিখোঁজ যুবক নিশানকে উদ্ধারের ব্যাপারে র্যাব উদ্যোগী হয়ে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে। নিশানের বাবার নিকট পাঠানো নগদ এজেন্টের মজমপুর এলাকায় অবস্থিত দোকানের আশপাশে অবস্থান নেয় র্যাব। বাবার পাঠানো টাকা উত্তোলনের সময় নিশানকে আটক করা হয়। নিখোঁজ হওয়ার আগের দিন নিশান তার বাবার কাছ থেকে অনলাইনে জুয়ায় লগ্নি করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা কথা বলে ৫০ হাজার টাকা নেয়। কিন্তু সেই টাকা তিনি হারিয়ে ফেলেন। এরপর তিনি তার বাবার ভয়ে হারানো টাকা ফিরে পাওয়ার জন্য নিজেই অপহরণ নাটক সাজান এবং যশোর থেকে কুষ্টিয়া শহরে এসে একটি আবাসিক হোটেলে ওঠেন। কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান বলেন, নিশান অনলাইন জুয়ায় আসক্ত। তিনি দীর্ঘদিন যাবত অনলাইনে জুয়া খেলে আসছেন। অনলাইন জুয়ায় লগ্নি করার উদ্দেশ্যে এমন নাটক সাজিয়েছিলেন তিনি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিশান এসব স্বীকার করেছেন।