নিজস্ব প্রতিবেদক:-“প্রতিকারের জোরদাবী অভিভাবক ও স্হানীয়দের” কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বারখাদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়েরর প্রধান শিক্ষক আনছার আলীর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।বীগত প্রায় পাঁচ বছর দ্বায়ীত্বকালীন সময়ে দুর্নীতিবাজ এই প্রধান শিক্ষকের অনিয়ত আর স্বেচ্ছাচারিতা মাধ্যমে অর্ধকোটি টাকার মালিক হয়েছেন বলে একাধিক সুত্রে জানা গেছে। অনুসন্ধানে জানাযায়, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ২০১৭ সালে আনছার আলী বারখাদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে একাধিক নিয়োগ বানিজ্যের মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। অপরদিকে প্রস্তাবিত নতুন ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে শিক্ষা বোর্ডে মনগড়া-কাল্পনিক অভিযোগ দ্বায়ের করার পিছনে তার হাত রয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানা যায়।প্রস্তাবিত কমিটির স্হগিতের সুবাদে দীর্ঘ্য প্রায় ৯ মাসের আয়-ব্যায়ের হিসাব গড়মিলেরর মাধ্যমে আত্নসাৎ করা হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা বলে সুত্রটি জানাই। এছাড়া বিশেষ ক্লাসের নামে কতিপয় শিক্ষকের যোগসাজসে ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট থেকে প্রতিমাসে আদায় করা হচ্ছে প্রায় অর্ধলক্ষ টাকা। বিশেষ ক্লাস না করলে পরীক্ষায় ফেল করানোর ভয় দেখানো হচ্ছে। অর্থ আত্নসাধের নেশায় পরিচালনা পরিষদ বিহীন এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরর তিনিই সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। ক্ষমতাধর এই প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলতি বছরের শুরুতে শিক্ষাথী -অভিভাবক ও স্হানীয় সচেতন মানুষ ঝাড়ু মিছিল করে।অভিযুক্ত কে বিদ্যালয়ে অবরুদ্ধ রাখলে মডেল থানার পুলিশের সহায়তায় আটক দশা থেকে মুক্ত হয়ে বিদ্যালয় ত্যাগ করেন। যা স্হানীয় বিভিন্ন গনমাধ্যমে ফলাও করে সংবাদ প্রকাশিত হয়।তিনি কাউকেই তোয়াক্কা করেন না।চতুরতা আর অপতৎপরতা তার চরিত্রেরর অন্যতম বৈশিষ্ট্য। সমালোচিত প্রধান শিক্ষক আনছার আলীর নিকটে এবিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বিভ্রান্তি মুলক তথ্য উপস্হাপনে ব্যাস্ত হয়ে পড়েন।তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,বিশেষ ক্লাশ আর করাবো না।কমিটি অনুমোদন না হওয়া বোর্ডের ঘাড়ে দোষ চাপান তিনি । এক পর্যায়ে তিনি বেসামাল হয়ে গোপনে সাংবাদিকদের ছবি তুলতে থাকেন।এই প্রধান শিক্ষকেরর অপতৎপরতা রোধে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার আশু দৃষ্টি কামনা করেছে স্হানীয় সচেতন মহল।