নিজস্ব প্রতিবেদক:-
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে এক দূর্গম এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে হেফাজতের জঙ্গি আশিকুজ্জামান বিন আখের ওরফে হেফাজত সুমন। তার ফেসবুক আইডি থেকে হেফাজতের পক্ষে এবং সরকারের বিপক্ষে যেন জেহাদ ঘোষণা করেছে। প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, বিচার বিভাগ, প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অশালীন ভাষায় আপত্তিকর পোস্ট দিয়ে রাষ্ট্র বিরোধী, সমাজবিরোধী উত্তেজনাকর সাম্প্রদায়িক উস্কানীমুলক দাঙ্গা তৈরির অপচেষ্টা চালায়। দৌলতপুর সীমান্তে সরকারের সকল প্রকার উন্নয়ন কাজের বিরোধিতা করে থাকে হেফাজত সুমনের জঙ্গি বাহিনী। সড়ক নির্মাণ, নদী খননসহ সব কাজে তার জঙ্গি বাহিনীকে মোটা অংকের বখরা না দিলে কাজ করতে পারবে না। এলাকায় মাদক, চোরাচালান, অস্ত্র পাচারসহ সীমান্তের এমন কোন অপকর্ম নেই যেখানে হেফাজত সুমনের হাত নেই। ফেসবুকে হেফাজতের লম্পট মামুনুলের পক্ষ নিয়ে সরকার এবং বিচার বিভাগকে নগ্ন ভাষায় মিথ্যাচার করেছে। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের 'লোচ্চা', শিক্ষামন্ত্রীকে 'শয়তান'সহ নানারকম কটুক্তি করেছে তার ফেসবুক আইডিতে। এসব তথ্য জেনে এলাকাবাসীর অনুরোধে কুষ্টিয়ার গণমাধ্যমকর্মীরা গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের মাদাপুর গ্রামে হেফাজত সুমনের আস্তানায় যায়। হিসনা নদী দখল করে মাঝে মাঝে বাঁধ দিয়ে পুকুরের মত আঙিনা তৈরি করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে থাকে। হিসনা নদীর পাড়ে সরকারি জায়গা দখল করে বিভিন্ন জনের কাছে বাড়ির করা জন্য, চাষাবাদের জন্য বিক্রি করে থাকে। এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তারপক্ষে না গেলে জঙ্গি সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে তার ফেসবুকে রাষ্ট্র বিরোধী, সরকার বিরোধী স্ট্যাটাস দিলেও স্থানীয় প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় সে দিনে দিনে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কুষ্টিয়ার গণমাধ্যমকর্মীরা তার অপকর্মের সংবাদ সংগ্রহ করতে হেফাজত সুমনের গ্রামে গেলে সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায় তার জঙ্গি বাহিনী। সাংবাদিকদের ক্যামেরা কেড়ে নেয় হেফাজত সুমনসহ তার বাহিনী। আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করে হত্যার উদ্দেশ্য। স্থানীয় জনগন থানায় ফোন করলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। এবিষয়ে দৌলতপুর থানায় হেফাজত সুমন, আসাদসহ অজ্ঞাত ১৫/১৬ জনের বিরুদ্ধে একটি এজাহার দেওয়া হয়।
আগে থেকেই ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায় হেফাজত সুমন। কেড়ে নেয় ৪টি ক্যামেরা। পুলিশ একটি উদ্ধার করলেও বাকী ৩টি ক্যামেরা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উদ্ধার কিংবা কোন আসামি গ্রেফতার হয়নি।
উপদেষ্টা: বেলাল আহাম্মেদ, প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃ জাহিদুল হক ডন, বার্তা সম্পাদক : যাবির মাহমুদ
সম্পাদকীয় কার্যালয়: মঙ্গলবাড়িয়া বাজার, কুষ্টিয়া।
মোবাইল : ০১৭১২-৮১৪০৫৯,ইমেইল : thedonnews24@gmail.com।
ই-পেপার কপি