নিজস্ব প্রতিবেদক:-
সঠিকভাবে অনুসন্ধান করে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বিলগাতুয়া ক্রাইম জোন নিয়ন্ত্রণকারী শীর্ষ মাদকসম্রাট ও ককটেল বিস্ফোরণ ও প্রস্তুতকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩ টায় কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব- কেপিসি হলরুমে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন বিলগাতুয়া গ্রামবাসী। মাদকচোরাচালান চক্রই ককটেল বিষ্ফোরন ঘটিয়েছে উল্লেখ করে সরেজমিনে তথ্য অনুসন্ধান করে প্রকৃত সত্য তুলে ধরার জন্য সাংবাদিকসমাজের প্রতি আহ্বান করেন বক্তারা। তারা বলেন, কুষ্টিয়া সিমান্তে মাদক চোরাচালানের প্রধান রুট হলো দৌলতপুর উপজেলার বিলগাতুয়া পয়েন্ট। এই রুট দিয়ে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ মাদকদব্র্য সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে। মাদক চোরাচালানের সময় পুলিশ,বিজিবির সদস্যদের ওপর হামলার জন্য ককটেল ব্যবহার করে থাকে। তাদের দাবী,গত শুক্রবার(১৭ ফেব্রয়ারী-২৩) বিকালে বিলগাতুয়া গ্রামের সাধারন শান্তিপ্রিয় জনগণের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি ও খুন-জখমের উদ্দেশ্যে ককটেল নিক্ষেপ করতে গিয়ে বিলগাতুয়া গ্রামের নুর হোসেনের ছেলে শীর্ষমাদক সম্রাট মঞ্জু ও বাবলুর ছেলে রাজিবের ডান হাতের কব্জি উড়ে যায় ব্যবসায়ী,শিক্ষক,চাকুরীজীবি, দোকান্দারসহ ২৩ জন কে এই ঘটনায় জড়িয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার নং দৌলতপুর জিআর ৯৫/২৩। এই মামলার আসামি গার্মেন্টস ব্যাবসায়ী
কুতুব উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, ঘটনার দিন আমি গ্রামেই ছিলাম না। ককটেল তৈরির উপকরণ কিভাবে, কারা সংগ্রহ করেছে, বিষ্ফোরণের সাথে জড়িতদের বিষয়ে সুষ্ঠু অনুসন্ধান প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়ায় আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।
সাবেক ইউপি সদস্য ইসমাইল হোসেন বলেন,ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেই প্রকৃত সত্য উদঘাটিত হবে। মাদক ব্যবসায়ীরা এই ককটেল বিস্ফোরণের সাথে জড়িত। গোয়েন্দা অনুসন্ধানের মাধ্যমে মাদকসম্রাট মঞ্জুর অস্ত্র ভান্ডার থেকে অবশিষ্ট বিষ্ফোরক উদ্ধারের দাবী জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য আমাকে ও আমার সন্তানদের জড়িয়ে নিবন্ধনহীনঅনলাইন পোর্টালে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। এই ধরনের মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আপনাদের বিশেষ ভাবে অবগত করতে চাই মাদক চোরাচালান বা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে আমার বা আমার পরিবারের সদস্যদের দূরতম সম্পর্ক নাই। আমার ৩ টা ছেলে শিক্ষিত এবং তারা ঢাকায় কর্মরত। বক্তারা আরও বলেন, বিলগাতুয়া সীমান্তের শীর্ষ মাদকসম্রাট আকিদুল পুলিশের সাথে ঘুরে বেড়ায়। বর্তমানে বিলগাতুয়া গ্রামের সাধারণ মানুষ চরম নিরাপত্তাহীন তায় রয়েছে। মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও বিলগাতুয়া সিমান্তে মাদক চোরাচালান বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন বক্তারা। ককটেল তৈরির কারিগর ও গডফাদার কে খুঁজে বের করতে হবে।