রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
কুষ্টিয়া শিলাইদহ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ডিগ্রী কলেজ সরকারি করনের দাবি কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলার আসামী ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কারাগারে ভূমিদস্যুরাই এখন বিচারহীন অপরাধী দুই এএসআই হত্যা: আসামি ধরতে গিয়ে ফের পুলিশের ওপর হামলা কুষ্টিয়ায় নিজের গলাই ছুরি চালিয়ে বৃদ্ধার আত্মহত্যা কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বাবা-মা ও মেয়ের মৃত্যু চোখের পানি ধরে রাখতে পারছি না বুক ফেটে যাচ্ছে ফায়ার ফাইটার মেহেদী আজাদ ডুবুরি না হয়েও জিবনের ঝুঁকি নিয়ে পানির নিচ থেকে লাশ উদ্ধার করে আগামীকাল থেকে ৩দিন ব্যাপী লালন স্মরণোৎসব শুরু কুষ্টিয়ার ঝাউদিয়ায় দুই গ্রুপের ব্যাপক গোলাগুলি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বজ্রপাতে নারীসহ চারজনের মৃত্যু

কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় দুই জনের মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন ৪

Reporter Name / ৮৮ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ৮:০০ অপরাহ্ন

ডন ডেস্ক:-

কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ফিরোজ মোল্লা নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে দুই চরমপন্থী নেতার মৃত্যুদণ্ড ও চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদেরকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার মৃত্তিকাপাড়া গ্রামের আদিল উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে সজিব বিশ্বাস ও একই উপজেলার বালিয়াপাড়া গ্রামের মৃত জানে আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার করিমপুর গ্রামের মৃত ওয়াহেদ জোয়াদ্দারের ছেলে জমির উদ্দিন জোয়াদ্দার, একই থানার বালিয়াপাড়া গ্রামের মৃত মকছেদ আলী মন্ডলের ছেলে সদর উদ্দীন মন্ডল, আব্দুল আজিজের ছেলে আনিছুর রহমান ওরফে আনিস ও দিদার আলীর ছেলে সুমন আলী ওরফে সুমন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা চরমপন্থী দলের নেতা ও সদস্য। তারা চাঁদাবাজি, অপহরণ, খুন, নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডারবাজিসহ নানা সন্ত্রাসী অপকর্মে জড়িত ছিল। এ মামলার আসামি লিয়াকত ও ইয়াহিয়া খান বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন। রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জমির উদ্দিন জোয়াদ্দার আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তিনি পলাতক রয়েছেন। অন্যরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পরপরই তাদেরকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২ জানুয়ারি সকালে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের বালিয়াপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গেটের সামনে থেকে ফিরোজ মোল্লার দেহবিহীন রক্তাক্ত মাথা উদ্ধার করে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ। নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ফিরোজ মোল্লাকে গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করে। হত্যার পর তার মাথা বাজারের ব্যাগে করে স্কুলের গেটে ঝুলিয়ে রাখে আসামিরা। পরে বালিয়াপাড়ার বাবলাতলা মাঠ থেকে মাথাবিহীন দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আসামিরা অত্যন্ত দুর্ধর্ষ ও প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে বিচার চাওয়ার সাহস পাননি নিহতের পরিবারের লোকজন। তৎকালীন কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের এসআই সঞ্জয় কুমার কুন্ডু বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ১ এপ্রিল আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, টেন্ডার নিয়ে বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফিরোজ মোল্লাকে গলা কেটে মাথা বিচ্ছিন্ন করে হত্যার দায়ে দুইজনের মৃত্যুদণ্ড ও চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর ....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর