নিজস্ব প্রতিবেদক:-
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের বেলঘড়িয়া চরপাড়ায় স্বামী মৃত আজিজুর রহমানের স্ত্রী রোকেয়া খাতুনের কাছ থেকে তার ছোট ছেলে মৃত নুরুল ইসলামের তিন ছেলের দ্বারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন প্রতিবন্ধী রোকেয়া খাতুন। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে। ভুক্তভোগী রোকেয়া খাতুন জানান আমার ছোট ছেলে নুরুল ইসলাম মৃত্যুবরণ করলে তার কিছু সম্পত্তি আমার নামে চলে আসে আমি মানবিক দিক বিবেচনায় আমার নাতি ছেলে ১, মোঃ জুয়েল উদ্দিন ২, মো. সোহেল রানা ৩, মো. রুবেল হোসেন কে বলি তোমাদের বাবার এ্যজমালী সম্পত্তি আমার নামে যতটুকু এসেছে ততটুকু সম্পত্তি আমি তোমাদেরকে দিতে চাই। তাদের সাথে আমার এই কথাই হয়। অথচ তারা সেটা না করে কাউকে কিছু না জানিয়ে আমার যা সম্পত্তি ছিল সব সম্পত্তি তারা তিন ভাই পরিকল্পনা করে আমার কাছ থেকে লিখে নেয়। আমি প্রতিবন্ধী, পড়াশোনা জানিনা জানা সত্ত্বেও তারা আমার সাথে প্রতারণা করেছে। আমার ৪ ছেলে মেয়ে এখনো বেঁচে আছে।১ছেলে ১ মেয়ে মারা গিয়েছে। আমার সাথে প্রতারণার হয়েছে এটা জানতে পারি আমার চতুর্থ মেয়ে বিউটি বেগমের ছেলে সোহানের মাধ্যমে জানতে পারি যে, তারা আমার সাথে প্রতারণা করেছে। এই প্রতারনার বিষয়টি জানাজানি হলে তারা সকলে মিলে আমার উপরে অমানবিক অত্যাচার ও নির্যাতন চালাতে থাকে। সেই সাথে আমাকে ও আমার নাতি ছেলে সোহানের উপরেও প্রাণনাশের হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। আমি নিরুপায় হয়ে আমার চতুর্থ মেয়ে বিউটি বেগমের বাসায় এখন রয়েছি। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আমি একজন প্রতিবন্ধী, বিধবা ও অসহায় মানুষ আমার সাথে যে প্রতারণা হয়েছে আমি এর সুষ্ঠু বিচার চায়। আমার সকল সম্পত্তি ফেরত চাই।
আর যারা এমন করলো তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য তার বাসায় গেলে তাদেরকে বাসায় পাওয়া যায়নি সেসাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ করেননি সোহেল ও রুবেল।
অভিযুক্ত প্রতারক মো. জুয়েল উদ্দিন (২৭) ফোনে কথা হলে তিনি বলেন আমার দাদি আমাকে স্বইচ্ছায় জমি দিয়েছে। আমাদের তিন ভাইকে জমি দিয়েছে আমরা কোন প্রতারণা করি নাই। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া সদর সাব রেজিস্ট্রার মো. কাওছার আলীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমি এখানে কিছুদিন যাবত যোগদান করেছি। এই দলিল আমার হাতে সম্পদন হয়নি। আমার আগে যিনি দায়িত্বে ছিলেন তিনি করেছেন।
তবে আমি যেটা বলবো আইন ও বিধি অনুসারে যখন কোন দলিল সম্পাদন হয় সে দলিল বাতিলের কোন এখতিয়ার আমরা রাখিনা। সেটা মহামান্য আদালতের বিবেচ্য বিষয়। ভুক্তভোগী রোকেয়া খাতুন যদি আদালতের শরণাপন্ন হন, উনি যদি বলেন কিভাবে প্রতারণার শিকার হলেন আশা করি মহামান্য আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে এর সুষ্ঠু সুরাহা করবে। মহামান্য আদালত এই দলীল বাতিলের নির্দেশ দেয় তাহলে সাথে সাথে এই দলিল বাতিল হিসেবে গণ্য হবে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী রোকেয়া খাতুন কুষ্টিয়া মডেল থানায় ৬ জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।