নিজস্ব প্রতিনিধি:-
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী আল্লেক আলী (৪৫) নামে একজনকে আমৃত যাবজ্জীবন ও ভাসুর মনা নামে ৭ বছরের কারাদন্ডের আদেশ দেন আদালত। সে যাবজ্জীবন প্রাপ্ত আল্লেক আলীকে ২৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও একবছরের সশ্রম করাদন্ড ও ভাসুর মনাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন আদালত। রবিবার দুপুরের দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম একজন আসামীর উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষনা করেন এবং অপর আসামী আল্লেক আলী পলাতক ছিল। রায় প্রদান অভিযুক্তকে পুলিশের কঠোর পাহাড় জেলাকারাগারে প্রেরণ করেন এবং মুল সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ নির্দেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন ভেড়ামারা উপজেলার চাঁদগ্রামের সোনা উল্লাহ এর ছেলে আল্লেক আলী ও ছোট ছেলে মনা। আদালত সূত্রে জানা যায় ২০০৬ সালে ৩০ শে জুন নিহত হাফিজা খাতুন বাড়ীর পাশে পুকুরে ভোরে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের আধাঘন্টা পর নিহত হাফিজা খাতুনের লাশ পুকুরে ভাসিতে দেখে পুলিশকে সংবাদ দেয়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল
হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। পরে ময়নাতদন্তের পর জানা যায় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে আড়াই মাস পরে ভেড়ামারা থানায় নিহতের মামা আসমত আলী নিহতের স্বামীসহ ৬ জন বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দাযের করে। তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আবু জাফর মামলাটির তদন্ত শেষে নিহতের স্বামীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ১৪ এপ্রিলে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। দীর্ঘদিন মামলাটি সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালত রবিবার এ রায় ঘোষনা করেন।