ডন ডেস্ক:-
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় পরিবারের সদস্যের মৃত্যুতে কিস্তিতে পণ্য কেনা ক্রেতাকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন। সহজ কিস্তিতে মোবাইল ফোন কেনা জিয়ার হোসেন প্রতিষ্ঠানটির ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষা নীতির’ আওতায় এ সুবিধা পেয়েছে। সম্প্রতি ক্রেতাদের জন্য ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষা নীতি’ চালু করেছে ওয়ালটন প্লাজা। এর আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তিতে পণ্য ক্রয়কারীদের কিস্তি সুরক্ষা কার্ড দেওয়া হচ্ছে। কিস্তি চলমান থাকা অবস্থায় ক্রেতার মৃত্যু হলে পণ্যমূল্যের ভিত্তিতে ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ এবং তার পরিবারের কোনো সদস্য মারা গেলে ২৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত সহায়তা দিচ্ছে ওয়ালটন প্লাজা। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পণ্যের অনাদায়ী কিস্তির টাকা সমন্বয়ের পর অবশিষ্ট টাকা ক্রেতা বা তার পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বেলা ১১টায় ভেড়ামারা উপজেলার সাতবাড়ীয়া ওয়ালটন প্লাজায় জিয়ার হোসেনের হাতে অর্থ তুলে দেওয়া হয়। এ সময় ওয়ালটন প্লাজা,ডিভিশন-১০ চিফ ডিভিশনাল অফিসার কাজী আরিফ হোসেন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ধরমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামসুল হক। অনুষ্ঠানে ওয়ালটন কুষ্টিয়ার আরসিএম আজিজুর রহমানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ওয়ালটন প্লাজা ডিভিশন-১০ এর ডিভিশনাল ক্রেডিট ম্যানেজার ওবাইদুর রহমান, কুষ্টিয়া এরিয়ার আর.এস.এম এম.এস দ্বীন ইসলাম, সাতবাড়ীয়া ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজার ওমর ফারুক, দৌলতপুর ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজার মনিরুল ইসলাম, ইউপি সদস্য রহিদুল ইসলাম, ভেড়ামারা বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান, সমাজ সেবক মোসলেম উদ্দিন প্রমুখ।
এ সময় সাতবাড়ীয়া ওয়ালটন প্লাজার কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। ওয়ালটনের ডিভিশন-১০ এর চিফ ডিভিশনাল অফিসার কাজী আরিফ হোসেন বলেন, ওয়ালটন সহজ কিস্তিতে পণ্য দিয়ে থাকে। সেই সঙ্গে যদি কিস্তি পরিশোধকালীন ক্রেতা বা তার পরিবারের সদস্য কেউ মারা যায়, তাহলে আর্থিক সুবিধা দেওয়া হয়।সাতবাড়ীয়া ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজার ওমর ফারুক বলেন, ভেড়ামারা উপজেলার উত্তর ভবানীপুর গ্রামের জিয়ার হোসেন। সাতবাড়ীয়া ওয়ালটন প্লাজা থেকে তিনি চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি কিস্তিতে ১৯ হাজার ১৭১ টাকার একটি মোবাইল ফোন কেনেন। ১২ ফেব্রুয়ারি স্ত্রী বিলকিস খাতুন মারা যাওয়ায় জিয়ার হোসেন ২৫ হাজার টাকা পেয়েছেন। তবে এই টাকা থেকে তার অপরিশোধিত কিস্তির টাকা সমন্বয় করা হয়েছে।