ডন ডেস্ক:-
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর ৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, দাবা খেলাটি কুষ্টিয়ার সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। বিশেষ করে আজকে তরুণ ও যুবকেরা খেলা বিমুখী হয়ে গেছে। অনেকেই খারাপ জগতে, নেশা ও ফেসবুকে আসক্ত হয়ে গেছে। তাদেরকে ক্রীড়াঙ্গনে ফিরিয়ে আনতে হবে। একজন খেলোয়ার তার পরিবার ও দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনে। তাদেরকে ক্রীড়াঙ্গনে ফিরিয়ে আনলে সেই খেলোয়াড় ব্যক্তিগতভাবে ও তার পরিবার এবং দেশ উপকৃত হবে। শুক্রবার (৩১ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মর্নিং গ্লোরি চেস ক্লাব কুষ্টিয়ার আয়োজনে
“সেবাতেই আনন্দ, আনন্দই জীবন” এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে কুষ্টিয়ায় রহিমা-আফসার স্মৃতি আন্তর্জাতিক র্যাপিড রেটিং দাবা প্রতিযোগিতা ২০২৩ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহবুবউল আলম হানিফ আরও বলেন, সারা বিশ্বের জনপ্রিয় খেলার নাম দাবা খেলা। দাবা খেলা খুবই বুদ্ধির খেলা। ঠান্ডা মাথা খেলতে পারলে জয়লাভ করা যায়। দাবা খেলার মাধ্যমে মানুষের চিন্তা ও বুদ্ধির বিকাশ ঘটেও বটে। দাবা খেলা এক সময় আমার কাছে খুবই প্রিয় খেলা ছিল। গত প্রায় ৩০- ৪০ বছর যাবৎ আর খেলা হয় না। সবসময় নানান মানুষেরকে নিয়ে চিন্তা করতে হয়, কথা শুনতে হয়। মানুষের জন্য কাজ করতে হয়। যার কারণে এখন আর দাবা খেলা সম্ভব হয় না। বাংলাদেশের দাবার গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোরশেদ। বাংলাদেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় ও সুপরিচিত দাবাড়ু ছিলেন। গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোরশেদ আমার একজন ফেভারিট খেলোয়াড় ছিল। রাশিয়ার দাবার গ্র্যান্ডমাস্টার গ্যারিটাটচার ও আমেরিকার দাবাড়ু রবার্ট জেমস ববি ফিশার মধ্যে যখন খেলা হতো গোটা বিশ্ব তাকিয়ে থাকত কে জিতবে। মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, এই কুষ্টিয়াতে আগামী জুন- জুলাই মাসে গ্র্যান্ডমাস্টার টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে। গ্র্যান্ডমাস্টার টুর্নামেন্টে শুধু বাংলাদেশের খেলোয়াড়ই নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের খেলোয়াড়রা অংশগ্রহণ করেন সে ধরনের আমাদের একটি উদ্যোগ থাকবে।
কুষ্টিয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার দাবা উপ-পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক ও মর্নিং গ্লোরি চেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা: রতন কুমার পালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর ৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ। বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য রাখেন, কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. খাইরুল আলম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা, কুষ্টিয়া জজ কোর্টের বিজ্ঞ পিপি ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী। এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বক্তারা বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এখানে মোট ১০৯ জন খেলার অংশগ্রহণ করেছে। এখানে যেমন অনেক ভালো খেলোয়াড়রা এসেছে আবার নতুন খেলোয়াড়রাও আসছে। এই টুনার্মেন্টটা একদিনেই ৭ পর্বের হবে। এখান থেকে সেরা খেলোয়াড়দের বাছাই করা হবে। আর বিজয়ীদের পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে নগদ অর্থ, ক্রেস্ট ও উপহার সামগ্রী। বক্তারা আরো বলেন, আমরা এই ধরনের প্রোগ্রামগুলোর সঙ্গে সব সময় ছিলাম, আগামীতেও থাকতে চাই। আজ প্রতিযোগিদের সংখ্যা অনেক বেশি। আমরা চেষ্টা করব এই প্রজেক্টকে আরো অনেকদূর নিয়ে যাওয়ার। এই ধরনের টুর্নামেন্ট যত বেশি হবে আমাদের দাবাবিদদের সংখ্যাও তত বাড়তে থাকবে।