নিজস্ব প্রতিবেদক:-
বীথি(২০) নামে এক গৃহবধুকে পাশবিক নির্যাতন করে হত্যার পর মৃত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করেছেন বলে স্বামী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনা ঘটেছে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের পল্ট্রির মোড় এলাকায়। নিহতের বাবা ইউপি সদস্য ফজলু শেখ বলেন, ১ বছর আগে প্রতিবেশী দিরা খাঁর ছেলে হাসানের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে বীথির। তাদের সংসারের মেয়াদ সবে ৩ মাস। বিয়ের পর ভোল পাল্টে ফেলে হাসান। ঠুনকো অভিযোগে মাঝে মাঝেই বীথি কে মারধর করত। সেই ধারাবাহিকতায় গত রবিবার (২ এপ্রিল’২৩) দুপুর ১২ টার দিকে বীথির ওপর পাশবিক নির্যাতন করে হাসান আলী ও তার বাবা-মা। অত্যাচার নির্যাতনের ফলে হাসানের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেও মটরসাইকেল যোগে বীথি কে দৌলতপুর হাসপাতালে ভর্তি করে হাসান আলী। হত্যার অভিযোগ থেকে রেহাই পেতে এই নাটক সাজিয়েছে হাসান আলী এমনটাই বলে দাবী করছেন স্বপ্না খাতুন নামে হাসানের এক প্রতিবেশী। এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন চিলমারী ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান,বীরমুক্তিযোদ্ধা নিয়ামত আলীসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এ প্রসঙ্গে ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত ভাবে বলা যায় বীথি গলায় দড়ি দেয়নি। ঘরের উচ্চতা ৬ ফুট। বীথির উচ্চতা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি। আত্মহত্যা করার যৌক্তিক কোন আলামত দেখা যায়নি। নির্যাতনের এক পর্যায়ে বীথি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে পরিকল্পিতভাবে হাসান ও তার বাবা-মা প্রচার করে। নিহতের বড় বোন মৌসুমী খাতুন বলেন, বীথির পিঠে ঘাড় বরাবর মসলা পিষা পাটার পাথর দিয়ে সজোরে আঘাত করে বীথি কে হত্যা করেছে হাসান। ২৫০ বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে পরের দিন স্থানীয় গোরস্থানে লাশ দাফন করা হয়েছে। এই হত্যাকান্ডে জড়িত হাসানের বাবা দিরা খাঁ ও মা হাসিনা খাতুন (৪২) জামিন লাভ করলেও বর্তমানে তারা আত্মগোপনে রয়েছে। ১নং আসামী হাসান বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছেন। পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে বসত ঘরে লাশ ঝুলিয়ে রাখা ও হাসপাতালে ভর্তি করে নাটক সাজানোর এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ জনসাধারন।