কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:-
কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের কালোয়া গ্রাম ঘেঁষে বয়ে যাওয়া পদ্মা নদীতে বাবা- মায়ের সাথে গোসলে নেমে আনুমানিক বেলা ২ টায় পানিতে ডুবে মো. মনিরুল ইসলাম (বূরোর) ১০ বছরের শিশু সন্তান মোস্তাকিমের অকাল মৃত্যু হয় ,এ ঘটনায় যেন হার মেনেছে কাল্পিক কাব্য,পরিবারে নেমেছে শোকের ছায়া। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঈদের ছুটিতে দাদা বাড়িতে ঈদ করতে এসে নদীর পানিতে বাবা- মায়ের সাথে গোসলে নেমে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায় শিশু মোস্তাকিম। ২ ঘন্টা নিখোঁজ থাকার পরে এলাকা বাসীর সাহায্যে অনেক খোঁজাখুঁজি পর উদ্ধার করা হয় শিশুটির জ্ঞানহীন নিথর দেহ। খোঁজাখুঁজি করে পাওয়া গেলেও ততক্ষণে না ফেরার দেশে চলে যায় শিশু মুস্তাকিম। এমন অকাল মৃত্যুতে শিশুটির পরিবার এবং গ্রামবাসী সহ সবাই যেন স্তব্ধ বোবা হয়ে আছে প্রতি বেশীরাও। শুকনো মৌসুম হলেও ইউনিয়নের কালোয়া গ্রাম ঘেঁষে পদ্মা নদীর পানিতে এখনো রয়েছে খরস্রোত এবং গভীরতা, এই নদীতে প্রায়ই গোসল করতে নামেন অসংখ্য শিশু, কিশোর ,বণিক বৃদ্ধসহ সকল বয়সী মানুষ। নদী ভাঙ্গন রোধে বাধ দেয়া হয়েছে নদীর কূল ঘেঁষে এবং ফেলানো হয়েছে অগণিত কংক্রিটের তৈরি ব্লক। ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও এই পিচ্ছিল ব্লকের উপর দিয়ে মানুষজন গোসল করতে নামেন এই নদীতে। যে সকল মানুষজন সাঁতার জানেন তাদেরকে সাবধানে নদীতে নামতে অনুরোধ করে শিশু বৃদ্ধ সহ সাঁতার না জানা মানুষজনকে নদীতে না নামার জন্য এলাকাবাসীর মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করার প্রয়োজন মনে করছেন স্থানীয় জনগণ।