সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
কুষ্টিয়া শিলাইদহ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ডিগ্রী কলেজ সরকারি করনের দাবি কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলার আসামী ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কারাগারে ভূমিদস্যুরাই এখন বিচারহীন অপরাধী দুই এএসআই হত্যা: আসামি ধরতে গিয়ে ফের পুলিশের ওপর হামলা কুষ্টিয়ায় নিজের গলাই ছুরি চালিয়ে বৃদ্ধার আত্মহত্যা কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বাবা-মা ও মেয়ের মৃত্যু চোখের পানি ধরে রাখতে পারছি না বুক ফেটে যাচ্ছে ফায়ার ফাইটার মেহেদী আজাদ ডুবুরি না হয়েও জিবনের ঝুঁকি নিয়ে পানির নিচ থেকে লাশ উদ্ধার করে আগামীকাল থেকে ৩দিন ব্যাপী লালন স্মরণোৎসব শুরু কুষ্টিয়ার ঝাউদিয়ায় দুই গ্রুপের ব্যাপক গোলাগুলি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বজ্রপাতে নারীসহ চারজনের মৃত্যু

স্বামী- সন্তান ও সংসার ফিরে পেতে অসহায় শাহানাজ পারভীনের সংবাদ সম্মেলন

Reporter Name / ১৬০ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১২ মে, ২০২৩, ৯:২০ অপরাহ্ন

নিজস্ব প্রতিনিধি:-

দৌলতপুর উপজেলার ৫ নং রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন ভাগজোত বাজারে অবস্থিত আল মক্কা প্রাইভেট ক্লিনিকের মালিক জাহিদ হাসানের স্ত্রী শাহানাজ পারভিন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সে তার স্বামী- সন্তান ও সংসার ফিরে পেতে চেয়েছে।
শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে দৌলতপুর প্রেসক্লাব ডিপিসিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে শাহনাজ পারভীন জানান, ১৩ বছর আগে জাহিদ হাসানের সাথে ইসলামিক শরীয়া মোতাবেক আমার বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহ পরবর্তী আমাদের দাম্পত্য জীবনে একটি ছেলে সন্তান ও একটি মেয়ে সন্তান জন্মগ্রহণ করে। এমন অবস্থায় আমার স্বামী ও শাশুড়ি পরস্পর যোগসাজশে করে আমাকে ভরণ পোষণ না দেওয়ার মন-মানসিকতায় মোটা অঙ্কের যৌতুক দাবি করে আমার বাবা-মার কাছ থেকে। এবং সেই মোটা অঙ্কের যৌতুক না পাওয়া পর্যন্ত আমার উপর চলতে থাকে অমানবিক নির্যাতন।
পরে নির্যাতনের বিষয়টি আমার বাবা-মাকে জানালে আমার সুখের কথা চিন্তা করে জমি-জায়গা বিক্রয় করে ৮ লক্ষ টাকা যৌতুক প্রদান করে আমার বাবা জাহিদ কে। পরে কিছুদিন তারা ক্ষান্ত হলেও পুনরায় আবার আরো ৫ লক্ষ টাকা আমার বাবা মার কাছ থেকে এনে দেয়ার জন্য বলে আমাকে দাবীকৃত ৫ লক্ষ টাকা আমি এনে দিতে অক্ষমতা প্রকাশ করলে আমার উপর অত্যাচারের মাত্রা পূর্বের থেকে আরও দ্বিগুন বেড়ে যায়। এরি ধারাবাহিকতা গত ১০/০৫/২০২৩ তারিখ রাতে আমার স্বামী জাহিদ হাসান তাহার বসত বাড়ির শয়ন কক্ষে আমার শাশুড়ি মাসুরা খাতুন এর সহযোগিতায় আমার উপর অমানবিক নির্যাতন চালায়।
নির্যাতন চালানোর এক পর্যায়ে আমার স্বামী ও শাশুড়ি ঘর থেকে জোরপূর্বক বের করে একটি দুর্গন্ধযুক্ত বাথরুমের মধ্যে আটকায়ে রাখে। আমার ডাক চিৎকারে স্থানীয় প্রতিবেশী ও লোকজন আগাইয়া আসিয়া আমাকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন। কিন্তু আমার স্বামী ও শাশুড়ি স্থানীয় লোকজনদের অপমান অপদস্ত করে যার কারণে বাধ্য হয় স্থানীয় লোকজন জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল দিয়ে বিষয়টি প্রশাসন কে অবগত করে। পরে উক্ত ৯৯৯ এর সূত্র ধরে দৌলতপুর থানা পুলিশ সেখানে দ্রুত উপস্থিত হয়ে আমাকে দুর্গন্ধযুক্ত ঐ বাথরুম থেকে উদ্ধার করে।
শাহনাজ পারভীন আরো জানান, আমি আমার স্বামী সংসার ও ছেলেমেয়ে কে ফিরে পেতে চাই। আমার বাবার বসতভিটা শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে তাকে ইতিপূর্বে ৮ লক্ষ টাকা এনে দিয়েছি, এখন আর তাদের টাকা দেওয়ার মতো কোন সম্বল নেই। যার করনে আমার উপর এমন অত্যাচার এর মাত্রা তাদের দিন দিন বেড়েই চলেছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর ....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর