মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
ফায়ার ফাইটার মেহেদী আজাদ ডুবুরি না হয়েও জিবনের ঝুঁকি নিয়ে পানির নিচ থেকে লাশ উদ্ধার করে আগামীকাল থেকে ৩দিন ব্যাপী লালন স্মরণোৎসব শুরু কুষ্টিয়ার ঝাউদিয়ায় দুই গ্রুপের ব্যাপক গোলাগুলি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বজ্রপাতে নারীসহ চারজনের মৃত্যু কুষ্টিয়া আইলচারা ইউনিয়ন কৃষকলীগ নেতা কলম জোয়ার্দার এর খুটির জোর কোথায় শহিদ লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জন এর মৃত্যুতে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার শোকবার্তা মাগুরা ও ঝিনাইদহে সড়কে আট ঘন্টার ব্যবধানে নিহত -৫ কক্সবাজারের চকরিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালনা করার সময় লেফটেন্যান্ট তানজিম ছরোয়ার নির্জন (বিএ-১১৪৫৩) শাহাদাত বরণ করেছেন হাটশহরিপুর ফরাজিপাড়ায় বসতবাড়িতে লুটপাট’ থানায় অভিযোগ জনি হত্যা চেষ্টা মামলায় ০৩ পৌর কাউন্সিলর গ্রেফতার

কুষ্টিয়ায় কম সময়ে নাম খারিজ ও সরকারি ৪০০ বিঘা জমি চিহ্নিত করে প্রশংসিত এসিল্যান্ড হারুন

Reporter Name / ১৭৩ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম : শনিবার, ১০ জুন, ২০২৩, ১১:০০ অপরাহ্ন

নিজস্ব প্রতিনিধি:-

হারুন অর রশিদ গত ২৬-৭-২১ এ তিনি মিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার হিসেবে যোগদান করেন। সাধারণত ভূমি অফিস উপজেলার মধ্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি দপ্তর। যেখানে নাম খারিজ, মিসকেস থেকে শুরু করে ভূমি সংক্রান্ত সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে।বৃহত্তর এই উপজেলার মানুষরা ভূমি সেবা নিতে এসে অনেক সময় রাত হয়ে যেত। রাতে ঠিকমত গাড়ি না পাওয়াতে বাসায় ফিরতে মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হত। যার কারনে হারুন অর রশিদ এসেই তিনি নামখারিজ ও মিসকেস এর ভোগান্তি লাঘবে প্রতিদিন শুনানি চালু করেন। যার ফলে কুষ্টিয়া জেলার মধ্যে সবচেয়ে কম সময় ১৫ দিনের মধ্যেই জমির নামখারিজ সম্পন্ন হচ্ছে। এছাড়াও হারুন অর রশিদ মিরপুরে যোগদান করার সময় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার আশ্রয়নের ঘর নির্মাণ প্রক্রিয়া চলছিল। ঘর তৈরির জন্য তিনি মিরপুর উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নের প্রত্যেকটি মৌজাতে সরকারি খতিয়ান ভুক্ত জমি খুঁজতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে তিনি প্রায় ৪০০ বিঘা সরকারি এক নম্বর খাস খতিয়ানের জমি চিহ্নিত করেন। যা মিরপুর উপজেলার ইতিহাসে বিরল। উক্ত খাস খতিয়ানভুক্ত জমি সরকারের পক্ষে হস্তগত করছেন এবং করার চেষ্টা করছেন তিনি।
এছাড়াও তিনি উপজেলা ভিত্তিক শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম তৈরিতে সরকারি জমি নির্ধারণ করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন বলেও জানা যায়।
২০২১ সালে যোগদানের পর ব্যাপক হারে তিনি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছেন। বিশেষ করে, মাদক সেবী ও ব্যবসায়ী, ইটভাটা, অবৈধ মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ, অবৈধ ক্লিনিক পরিচালনা, ভেজাল খাদ্য উৎপাদন, ভেজাল কীটনাশক ও সার উৎপাদন, বাজার মনিটরিং এবং অবৈধভাবে মাটি ও বালিকাটা সহ বিভিন্ন অবৈধ কার্যক্রমে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছেন তিনি। সর্বশেষ ইউপি নির্বাচনে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহারের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের নিয়ম বহির্ভূত প্রচারণা বন্ধ ও জরিমানা করে আলোচিত হয়ে প্রশংসিত হয়েছিলেন হারুন অর রশিদ।
এছাড়াও একসঙ্গে দুই দপ্তর সামলে প্রশংসিত হয়েছেন মিরপুর’র ভারপ্রাপ্ত ইউএনও হারুন। প্রায় ছয় মাস তিনি মিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার ভূমির দায়িত্ব পালন করছেন। গত ৫ জুন বিকেলে নবাগত ইউএনও মিন্টু বিশ্বাসের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন তিনি।।গত ১৮ ই ডিসেম্বর ২০২২ তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল কাদের বদলি হলে মিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন সহকারী কমিশনার হারুন অর রশিদ। তার পর থেকেই উপজেলা পর্যায়ের সর্বোচ্চ দুটি দপ্তর এক হাতে পরিচালনা করেছেন তিনি। নতুন হিসেবে তিনি স্বাধীনতা দিবস, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, ৭ই মার্চ সহ বিভিন্ন সরকারি দিবস ও অনুষ্ঠান সফলভাবে আয়োজন ও পরিচালনা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে কুষ্টিয়া জেলার সবচেয়ে বড় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করেছেন তিনি। যেখানে সংগীত পরিচালনা করেছিলেন জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী তাহসান ও ঐশী।
এ ব্যাপারে মিরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র হাজি এনামুল হক বলেন, নিঃসন্দেহে আমাদের এসিল্যান্ড হারুন শতভাগ ভাল মনের মানুষ। তার কোন কার্যক্রম এখন পর্যন্ত খারাপ লাগেনি। আমি তার সাফল্য কামনা করি। মিরপুর উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী বলেন,ইউএনও হিসাবে ভালোভাবে দপ্তর পরিচালনা করছে। এছাড়াও এসিল্যান্ড হিসেবে হারুন অর রশিদ ডিজিটাল বাংলাদেশ তথা স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় অনলাইন ভিত্তিক দ্রুত নাম খারিজ করে মিরপুরের মানুষের জনদুর্ভোগ দূর করেছেন। আমি তার সাফল্য কামনা করি। এ ব্যাপারে মিরপুর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতালেব সদ্দার বলেন,তার অফিসে গেলে আমরা মুক্তিযোদ্ধারা অনেক সম্মান পাই। তিনিও আমাদের খোঁজ খবর রাখেন। তার আচার আচরণ ব্যবহারে আমরা সবসময় খুশি থাকি।
এ ব্যাপারে উপজেলা সাবেক ভারপ্রাপ্ত ইউএনও ও এসি ল্যান্ড হারুন অর রশিদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে জন্য ভূমিহীনদের জন্য ঘর নির্মাণের জন্য জায়গা খুঁজতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। যে ঘরে এখন অসহায় দরিদ্র মানুষ গুলো বসবাস করছে। এছাড়াও সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত জমি খোঁজা ভূমি কর্মকর্তা হিসেবে আমার দায়িত্ব। আমি যতদিন চাকরি করব ততদিন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সকল নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করে চলবো। উল্লেখ্য হারুন অর রশিদ যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলাতে জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক জীবনে চার বোন এর মধ্যে সবার ছোট তিনি। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। ৩৬ বিসিএস এর প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত হন তিনি। তার স্ত্রী ও একজন সমাজসেবা কর্মকর্তা। এক বর্তমানে এক কন্যা সন্তানের জনক তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর ....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর