ডন ডেস্ক:-
কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের ছেঁউরিয়া এলাকায় মাদক, সন্ত্রাস, ছিনতাইকারী, ভুমিদস্যু’সহ সকল অপরাধীদের বিরুদ্ধে রুখে দারাতে দল বল নির্বিশেষে আঞ্চলিক শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। (৮ জুলাই-২৩) শনিবার বিকেল ৫ টার সময় ছেঁউরিয়া বিশ্বাস পাড়া মসজিদের পাশে এই শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান এনামুল হক মনজু, ছেঁউড়িয়া দবির মোল্লার রেলগেট জামে মসজিদের সভাপতি ও কুষ্টিয়া লালন একাডেমির সাবেক নির্বাহী সদস্য আলতাফ হোসেন মোল্লাহ, কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের সদস্য, লালন একাডেমির এড্যআভ কমিটির সদস্য ও চাপড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম হক, জাতীয় দৈনিক লাখোকন্ঠ পত্রিকার কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক সামরুজ্জামান (সামুন), ছেঁউরিয়া বিশ্বাস জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদ রকিবুল হক ইথাহার, কুমারখালী উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি ইমরুল হক লিংক, বাঁধবাজার পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এস.আই শামীম সরদার, মিলফাঁড়ি পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এস.আই নজরুল ইসলাম, চাপড়া ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন, ২নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আশাদুর রহমান শাহিন, ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান মিজু, কুষ্টিয়া আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আলফাজ উদ্দিন মোল্লা, ছেঁউরিয়া বিশ্বাস পাড়া জামে মসজিদের পেশ ঈমাম ইয়াসিন আরাফাত’সহ স্থানীয় মান্যগন্য ব্যাক্তিরা। সমাবেশে চাপড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হক মনজু তার বক্তব্যে বলেন, মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গী এই তিনের মূলে রয়েছে মাদক। ছেঁউরিয়া এলাকায় জঙ্গী না থাকলেও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মূলে রয়েছে মাদকাসক্তরা। দেশের উন্নয়নে যুব সমাজ অগ্রনী ভূমিকা পালন করে। আর সেই যুব সমাজ যদি মাদকাসক্ত হয় তাহলে দেশের উন্নয়ন মূখ থুবরে পরবে। মাদক নির্মূল করতে পারলে সমাজ থেকে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদও নির্মূল হবে। তাই মাদক নির্মূলে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। বক্তব্যে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ বলেন, প্রকৃত অপরাধীকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য ছেঁউরিয়া এলাকায় বিভিন্ন পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা প্রয়োজন। সমাবেশে উপস্থিত বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ছেঁউরিয়া এলাকায় মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গী, ছিনতাইকারী, ভুমিদস্যু’সহ সকল অপরাধীদের অপকর্মের বিরুদ্ধে সবাই মিলে একসাথে হয়ে তাদেরকে প্রতিহত করা হবে বলে সকলেই একমত পোষণ করেন। উক্ত শান্তি সমাবেশ শেষে দেশে ও জাতির কল্যানে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
