ডন ডেস্ক:-
কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলায় স্রোত সমবায় সমিতি গঠন করে দিব্যি সুদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে এক পেশাদার সুদী ব্যবসায়ী বাদশা আলমগীর। সম্প্রতি কুমারখালী তেবাড়ীয়াতে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে স্রোত সমবায় সমিতির নামে চলছে সঞ্চয়ী সুদের ব্যবসা। এর ফাঁদে পড়ে অনেক গ্রাহকই আজ প্রতারণার শিকার হয়ে মামলা গলায় নিয়ে ভোগছেন। অনেক ভূক্তভোগী ঋণ গ্রহিতা সদস্যগণ জানান, স্রোত সমবায় সমিতির ক্ষুদ্র ঋণ/সঞ্চয় সংস্থার নামে কুমারখালী তেবাড়ীয়াতে বিভিন্ন মহিলাদের নিকট সুদের ঋণ প্রদান করেন। এরই প্রেক্ষিতে পাপিয়া সুলতানা পপি নামে স্রোত সমবায় সমিতির হতে গত ২৯/০৭/১৯ ইং তারিখে ৬০ হাজার ঋণ গ্রহণ করেন ৪৬ সপ্তাহে কিস্তিতে স্রোত সমবায় সমিতির ঋণ গ্রহণ করেন। তিনি ক্রমান্বয়ে কিস্তি পরিশোধ করেন।
অন্যান্য ঋণ গ্রহিতারা জানান, স্রোত সমবায় সমিতির মালিককে সরল বিশ্বাসে চেক এবং স্ট্যাম্পে স্বাক্ষরের মাধ্যমে তারা ঋণ গ্রহণ করেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করলেও ঋণ গ্রহিতাদের ব্যাংকের চেক এবং ষ্ট্যাম্পের ফেরত দেয়নি সংস্থা মালিক বাদশা আলমগীর। পরবর্তীতে ঋণ গ্রহিতাদের চেক ডিজওনার দেখিয়ে পাপিয়া সুলতানা পপি এর বিরুদ্ধেগত ৩১/০৭/২০২৩ইং তারিখে ১০ লক্ষ টাকা পাওনা দাবী করে বাদশা আলমগীর লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। একই বিষয়ে তারা বেগম, মমতাজ বেগম, পলি, আকলিমা খাতুন বিরুদ্ধে একটি লিগ্যাল নোটিশও প্রদান করেন।
এ বিষয়ে স্রোত সমবায় সমিতির প্রধান বাদশা আলমগীর এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি রিসিভ করেন নাই স্রোত সমবায় সমিতির মালিক বাদশা আলমগীর হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার । প্রতারণার শিকার হচ্ছেন অনেক ঋণ গ্রহিতা মহিলারা। এ সমস্ত অসাধু সঞ্চয়ী সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। বিপদগ্রস্থ লোকজনের সরলতার সুযোগ নিয়ে টাকা দেয়ার সময়ই টাকা গ্রহিতার কাছে থেকে টাকা ও তারিখের স্থান ফাঁকা রেখে ব্যাংকের চেকে শুধুমাত্র স্বাক্ষর নেয়াসহ টাকা গ্রহীতার ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটো কপিসহ সুযোগ পেলে ফাঁকা ষ্ট্যাম্পে ও স্বাক্ষর নিয়ে রাখেন।
প্রকাশ্য এরকম অপরাধের ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি সুদৃষ্টি কামনা করছেন এলাকার সচেতন জনগন।