ডন ডেস্ক:-
সিপিসি-১ (কুষ্টিয়া), র্যাব-১২ এবং সিপিসি-২ সাভার, র্যাব-৪ ক্যাম্পের যৌথ অভিযানে কুষ্টিয়া জেলার একটি হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় প্রধান আসামি গ্রেফতার। ১। “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই শ্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণ ও প্রতারকদের গ্রেফতার করে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সদা তৎপর রয়েছে র্যাব। ২। গত ১৬ আগষ্ট ২০২৩ তারিখ বিকাল আনুমানিক ০৩.০০ ঘটিকার সময় কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার পশ্চিম লাহিনীপাড়া গ্রামে মো. সাহেব আলী(৫০) এর স্ত্রীর মোছাঃ চম্পা বেগম এর সাথে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারই প্রতিবেশী মো. আলিমান শেখ আলিম (৩২) এর কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মো. আলিমান শেখ আলিম এর পিতা মো. ছোলেমান শেখ বকাবকি করতে করতে মো. সাহেব আলী এর বাড়িতে এসে মো. সাহেব আলীকে টানতে টানতে বাড়ির বাহিরে পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে মো. সাহেব আলীর সঙ্গে মো. আলিমান শেখ আলিম এবং তাহার পিতা মো. ছোলেমান শেখ এর মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায় বিকাল আনুমানিক ০৩.৩০ ঘটিকার সময় মো. ছোলেমান শেখ, মো. সাহেব আলীকে ঝাপটে ধরে। এমতাবস্থায় মো. আলিমান শেখ আলিম লোহার পাইপ দিয়ে মো. সাহেব আলীর বুকের মাঝখানে সজোরে গুতা মারে এবং অন্যান্য জায়গায় আঘাত করায় মো. সাহেব আলী মাটিতে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে যায়। পরবর্তীতে আশপাশের লোকজন মো. সাহেব আলীকে সেখান থেকে আশংকাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে এবং সেখানে তিনি মারা যায়। ৩। উক্ত হত্যাকান্ড প্রেক্ষিতে নিহতের বাবা বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নম্বর-১৮/২৬৫, তারিখ-১৭ আগষ্ট ২০২৩, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০ রুজু করা হয়। উক্ত হত্যাকান্ডের বিষয় বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকা সহ ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে সমস্ত জেলা তথা দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ফলশ্রæতিতে, মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে র্যাব উদ্যোগী হয়ে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে।