কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:-
কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলাই একদিকে ঘনঘন বিদ্যুৎ বিচ্যুতি অপরদিকে ভূতুড়ে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন উপজেলার নিন্মআয়ের সাধারণ বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। উপজেলাজুড়ে চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে সেপ্টেম্বর মাত্রাতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিচ্যুতি থাকায় তুলনামূলক বিদ্যুৎও কম ব্যবহার হয়েছে। তবুও গত তিনমাস ধরে দ্বিগুণ-তিনগুণ থেকে সাতগুনের ও বেশি বিদ্যুৎ বিল আসছে। লাগামহীন বিদ্যুৎ বিলে ভুক্তভোগীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। গ্রাহকদের অভিযোগ, মনগড়া বিল করে সাধারণ মানুষের পকেট কাটছে বিদ্যুৎ অফিস। তারা যা ইচ্ছে তাই করছে, দিনের পর দিন চলছে বিদ্যুৎ অফিসের এই
অরাজকতা। তাদের দেখার যেন কেউ নেই। এদিকে প্রতিদিন অসংখ্য গ্রাহক বিল বাড়ানোর অভিযোগ নিয়ে অফিসে যাচ্ছেন। ভূতুড়ে বিলে প্রসঙ্গে কুষ্টিয়া মিরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি- জোনাল অফিসে অভিযোগ করলেও কোনো সমাধান হচ্ছে না। উলটো অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজেদের মতো করে গ্রাহককে বুঝাচ্ছেন। তাদের কথা বুঝলে ভালো, না বুঝলে কিছুই করার নেই বলে ভুক্তভোগীদের বিদায় দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে প্রায় প্রতিদিন গ্রাহকের সঙ্গে অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাগবিতণ্ডা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে আরব আলী নামের একজন গ্রাহকের ছেলে খাইরুল বাশার বলেন, জুন-জুলাই – আগস্ট মাসে আমার মোট বিদ্যুৎ বিল হয়েছিল ১ হাজার ৮শ ৪০ টাকা। এবার শুধু সেপ্টেম্বর ই বিল এসেছে ৬৯৭৭ টাকা।আমার বাড়িতে নতুন কোন কিছু ব্যাবহার করছি না , সেখানে এমন ভূতুড়ে বিল কীভাবে হয়?
এই অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ ইউনিট দেখে মিটার রিডার আমাকে জানান আপনার মিটারে সমস্যা, আপনি দূত অফিসে যোগাযোগ করেন নতুন বিলের কাগজ তৈরির আগে যোগাযোগ করলে বিলটি সংসোধোন করে দিবে । আমি সঙ্গে সঙ্গে মিরপুর জোনাল অফিসে যোগাযোগ করি ,অফিস কতৃপক্ষ আমাকে মিটার পরিবর্তন এর আবেদন করতে পরামর্শ দেন,সে অনুযায়ী আমি মিটার পরিবর্তন আবেদন ফি জমা দিলে আমার মিটার পরিবর্তন করে দেয় এবং পুর্বের মিটার পরীক্ষা করে বিলের বিষয় ব্যাবস্থা নিবেন বলে জানান, মিটার পরীক্ষা ব্যাপারে ১০দিন যোগাযোগ করি, পরীক্ষা হয়নাই বলে এরইমধ্যে আমার বাড়িতে ৬হাজার ৯শ ৭৭টাকার বিলের কাগজ দেই, পরবর্তীতে মিরপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম আনন্দ কুমার কুণ্ডু সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান আপনার মিটার টি ভালো আছে , বিলের বিষয় কিছু করার নেই, আমি এমন ভূতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের প্রতিকার চাচ্ছি। দেলোয়ার হোসেন নামের আরও একজন গ্রাহক বলেন, আগে নিয়মিত বিল যেখানে ৩শ-৩৫০টাকা টাকার মধ্যে ছিল, সেখানে হঠাৎ করে সেপ্টেম্বর ই ৬শ ৪০ টাকা হয়ে যাচ্ছে। আবার অনেক গ্রাহক বলেন যেখানে ২শ বা ৩শ টাকা ছিল, সেখানে ৭ শ থেকে ৮শ টাকা হচ্ছে।
মুসলিমা খাতুন নামে এক গ্রাহক বলেন আমার
বাড়িতে প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিল ৮শ থেকে ৯শ টাকা আসে বিদ্যুৎ ব্যবহার একই অথচ সেপ্টেম্বর ই বিল এসেছে ১৫শ ৫০টাকা এ ব্যাপারে অভিযোগ দিয়েও কাজ হচ্ছে না। আর বিদ্যুৎ অফিসের লোকজনের মতের বাইরে কিছু বলাই যায় না। এ প্রসঙ্গে কুষ্টিয়া মিরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আনন্দ কুমার কুণ্ডু জানান, মিটার গ্রাহক এর কাছে সে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন, সেভাবেই বিল তৈরি হয়। অতিরিক্ত বিল নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। মিটার এর রিডিং অনুযায়ী বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হবে।