ডন ডেস্ক:-
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের বোয়ালিয়া ইউনিয়নের বেয়ালিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তিনটি পদে বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে গোপনে নিয়োগ পক্রিয়া সম্পন্ন করেছে ঐ বিদ্যালয় এর দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম মিন্টু ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তার বোন গুলশানারা খাতুন এবং শামীম খান। শামীম খান গুলশানারা খাতুনের স্বামী
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বোয়ালিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি গুলশানারা খাতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম মিন্টুর বোন। নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সকল দায় দায়িত্ব ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম মিন্টুর বোন গুলশানারা খাতুন এর উপর ন্যাস্থ থাকলেও বিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক বিষয় সহ নানাদিকের দায়িত্ব পালন করে তার তার বোনজামাই শামীম খান। নামমাত্রই বিদ্যালয়ের সভাপতি রয়েছে কিন্তু কাজে তাকে কখনোই খুঁজে পাওয়া যায় না। বিদ্যালয়টিতে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে তিনটি পদের নিয়োগ প্রক্রিয়া এর আগেও বিভিন্ন সময় স্থগিত হয়ে যাই। পরে সভাপতি গুলশানারা খাতুনের স্বামী শামীম খান ও বিদ্যালয়টির বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারি প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম মিন্টু বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করার মাধ্যমে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার বিনিময়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করেন। নিয়োগ প্রাপ্তরা হলেন, বোয়ালিয়া এলাকার আমিরুল ইসলাম বাবুর ছেলে আল মামুনকে পরিচ্ছন্ন কর্মী হিসেবে, হুমায়ুন কবিরের স্ত্রী নাজমা খাতুন কে আয়া হিসেবে ও আবুল কালাম আজাদের ছেলে আশিক খানকে অফিস সহায়ক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয। একাধিক অভিযোগের সূত্রে জানা যায়, প্রায় অর্ধ কোটি টাকা নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে অতি গোপনে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে বিদ্যালয়টির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি স্বামী শামীম খান। এ সকল বিষয় নিয়ে, বিদ্যালয়টির বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম মিন্টুর সাথে কথা বললে, তিনি জানান, ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে যা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সমস্ত বিষয়ে অবগত রয়েছেন, তাছাড়া নিয়োগে কার কাছ থেকে কত টাকা নিয়েছেন তার সমস্ত কিছু জানে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি স্বামী শামীম খান। এ বিষয় নিয়ে শামীম খানের সাথে প্রতিবেদক কথা বললে, তিনি জানান নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে বিদ্যালয় এর বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করার জন্য। তবে অভিযোগে যে অর্ধ কোটি টাকার কথা বলা হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ সঠিক নয়। তাছাড়া নিয়োগকৃত তিনজন ব্যক্তিই জেলা ও উপজেলার নেতাদের বিশেষ সুপারস্কৃত বলেও তিনি নেতাদের নাম উল্লেখ করেন।
এ সকল বিষয় নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সর্দার মো. আবু সালেক এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে তাদের সাথে আমার কোন সম্পৃক্ত নেই নিজেদের দোষ ঢাকার জন্য তারা এসব কথা বলেছেন, তারা যেটা বলেছে তা নিত্যন্ত ভণ্ডামি ছাড়া আর কিছু নয়।