নিজস্ব প্রতিনিধি:-
বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা বিখ্যাত সাঁতারু ডাঃ কানাই লাল শর্মার আজ ৯৩তম জন্ম বার্ষিকী। ১৯৩০ সালের এই দিনে কুষ্টিয়ার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের শালদহ গ্রামে তিনি জন্ম গ্রহন করেন। পিতা অভিমন্যু শর্মা এবং মাতা শান্তিবালা শর্মার প্রথম সন্তান ছিলেন। তিনি ছিলেন সাঁতারু, বীরমুক্তিযোদ্ধা, হোমিও চিকিৎসক, সমাজকর্মী, লেখক, কবি, গীতিকার ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সদস্য। জানা যায় তিনি টানা প্রায় চারদিন (পূর্ব পাকিস্থান) চাঁদ সুলতানা বলিকা বিদ্যালয় মাঠে বাই সাইকেল চালিয়েছিলেন। কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের হয়ে সাঁতারে প্রথম হওয়ায় তৎকালীন পূর্বপাকিস্থানের গভর্নর জনাব আজম খান তাকে পূরষ্কৃত করেন। পাক ও বাংলাদেশে বৃহত্ত্বর কুষ্টিয়া কে তিনি তাঁর সাঁতারের মাধ্যমে পরিচিত করে তুলে ছিলেন। ব্যাক্তিজীবনে নির্লোভ নিরহংকারী মানুষটি, মানুষের জন্য কিছু করার সব সময় চেস্টা করতেন। অদম্য ও সাহসীকতার সাথে পদ্মা, যমুনা, গড়াই সহ অনেক নদীতে, পুকুর জলাশয়ে বিভিন্ন সময়ে সাঁতার কেটেছেন। তাঁর জীবনে সেরা সাঁতার ছিল ১৯৭১ সালে কৃষ্ণনগর চার্চ এর পুকুরে টানা ৯০ ঘন্টা ১৭ মিনিটের সাঁতার যা সে সময়ে বিশ্বরেকর্ডের দাবিদার। শেষ জীবনে নিয়োজিত ছিলেন হোমিও চিকিৎসা পেশায়।
কাজ করেছেন কবি আজিজুর রহমান এর সহিত্য কর্ম নিয়ে, মুক্তি যুদ্ধকালীন সময়ে শরনার্থী সেবা সংঘ গঠন, ছাত্রবন্ধু ফাউন্ডেশন গঠন, বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে কাজ করেছেন।
তার কর্মময় জীবনে মানুষের মাঝে বেচে থাকার আকাংখা ছাড়া কোন ব্যক্তিগত স্বার্থে কাজ করেন নি। কুষ্টিয়ার কীর্তিমান এই গুণী মানুষটি বিগত ১৯ আগস্ট ২০১৯ ইং রোজ সোমবার সকাল ০৮:০৫ মিনিটে পরলোক গমন করেন। আমরা প্রায় ভুলেই গেছি তাঁর স্মৃতিচারণ করতে। আমরা আসলে গুণী মানুষের কদর করতে ভুলে যাচ্ছি। আমরা কি পারিনা “কুষ্টিয়া সুইমিং পুল” বীরমুক্তিযোদ্ধা সাঁতারু কানাই লাল শর্মা এর নামে নামকরন করতে! এটা হলে তাঁর প্রতি কুষ্টিয়া বাসী র পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানানো হবে বলে অনেক সূধীজন মনে করেন।
কাজল শর্মা
(সিঙ্গাপুর –১২১৫ এএম)
তথ্যসূত্র:-(কুষ্টিয়ার ইতিহাস)