ডন ডেস্ক:-
কুমারখালীতে কর্মরত ও বসবাসরত ব্যাংক কর্মকর্তা রাজীব আহমেদ রাজু গত ২২ দিন ধরে পরিবারের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিল। তাকে তার বাসা বাড়ি সহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে পাওয়া যাচ্ছিল না। খোঁজাখুঁজির জন্য মোবাইল ফোনে তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। এমতাবস্থায় কুষ্টিয়া ভেড়ামারা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মৃত ইয়াসিন আলীর পুত্রো উক্ত ব্যাংক কর্মকর্তার পরিবার এবং স্বজনেরা চরম উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। সংবাদপত্রে এ বিষয়ে নিখোঁজ সংবাদ প্রকাশিত হতে দেখা যায়। পুলিশের সহযোগিতা কামনা করে এ ব্যাপারে স্বজনদের পক্ষ থেকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়। কিন্তু ঘটনার এক সপ্তাহ দুই সপ্তাহ কাল অতিক্রম হয়ে যাবার পরও নিখোঁজ কর্মকর্তার কোন হদিস না মেলায় এলাকাবাসী ও পরিবারের পক্ষ থেকে জেলা শহরে মানববন্ধন করা হয়। এদিকে নির্বাচন সহ নির্বাচন পূর্ব ও পরবর্তী নানা পরিস্থিতির কারণে কুমারখালী থানা প্রশাসন ব্যাপক ব্যস্ত থাকায় সেই ব্যস্ততার মধ্যেও নিখোঁজব ব্যাংক কর্মকর্তার সন্ধানে প্রশাসনিক তৎপরতা অব্যাহত রাখেন তারা। কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক আকিবুল ইসলাম এর আন্তরিক তৎপরতায় ২২ দিন পর গত শুক্রবার রাত আটটার সময় মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং এর সহায়তায় উদ্ধার করা হয়েছে ব্যাংক কর্মকর্তা রাজীব আহমেদ রাজুকে। সে তার মোবাইল ফোন বন্ধ করে ইচ্ছাকৃতভাবে নিরুদ্দেশে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। খুলনার এশিয়া হোটেল থেকে পুলিশ তাকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে। কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মহম্মদ আকিবুল ইসলাম প্রতিবেদককে বলেন, নিখোঁজ রাজু সে মানসিকভাবে চরম বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে। ভিকটিমকে উদ্ধারের পর পরিবেশ পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও তার সাথে কথা বলে জানা যায় মানসিক উদ্বিগ্নতার কারণে তার মনের মধ্যে এক সময় আত্মহত্যার প্রবণতাও সঞ্চারিত হয়েছিল। উদ্ধার করে উক্ত ব্যাংক কর্মকর্তাকে তার স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এদিকে মোবাইল ট্র্যাকিং করে অবস্থান সনাক্ত করে পুলিশের সহযোগিতায় ভেড়ামারার ছেলে রাজুকে পাওয়া গেছে মর্মে সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী দুশ্চিন্তা মুক্ত হন।