ডন ডেস্ক:-
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মনোহরদিয়া ইউনিয়নের রাধানগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচন নিয়ে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা দীর্ঘ বহু বছর এই স্কুলে কোন নির্বাচন হয় না ইচ্ছামতই ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী ও স্কুলের অভিভাবক সদস্যরা। এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন এ স্কুলে আমরা বহু বছর কোন নির্বাচন দেখিনা নিজের ইচ্ছামতই ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা হয়। সেই সাথে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ও নিয়োগ বাণিজ্য করে থাকে এই কমিটি নির্বাচনের কথা বললেই নানা ধরনের তালবাহানা শুরু হয়ে যায় গোপনে কমিটি করে নিয়ে আসে। নির্বাচন হবে বলে আশ্বাস দিয়েও পরে আর নির্বাচন হয় না। নির্বাচনের বিষয়ে কথা বলতে গেলে এবং তারা গোপনে কমিটি করে আনার চেষ্টার প্রতিবাদ করতে গেলে আমাদের উপরে নানা ধরনের হুমকি ধামকি প্রদর্শন করা হয়। আমরা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই এই স্কুলের উন্নয়নের স্বার্থে ও শিশুদের শিক্ষার মান উন্নয়নের স্বার্থে স্কুলটাকে বাণিজ্যিক কারখানা তৈরি না করে একটি সুন্দর নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা হোক । একটি উৎসব মূখর পরিবেশের মধ্যে দিয়ে নির্বাচন দিয়ে এ নির্বাচনে যারা জয়লাভ করবে তারা এই কমিটির দায়িত্ব পালন করে স্কুলের উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করুক। রাধানগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমি নির্বাচনের জন্য কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত চিঠি দিয়েছি তারা নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েছে আমিও চাই এই স্কুলে একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে কমিটি গঠন হোক। কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমি রাধানগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নির্বাচনের জন্য উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসারের দায়িত্ব দিয়েছি নিয়মের বাইরে কোন কাজ হবে না নিয়ম অনুসারে সকল কাজ আমরা করব।
উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসার সুখেন কুমার পালের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমি নিয়ম কানন মেনেই নির্বাচনের সকল কার্যক্রম করেছি। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে দায়িত্ব দিয়েছিলাম নির্বাচনের সকল কার্যক্রম করার জন্য। স্কুলের নোটিশ বোর্ডে নির্বাচনে কোন আলামতই নাই এটা কেন এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমরা অফিসে বসেই সব কাজ করে থাকি স্কুলে না গেলেও চলে আমরা পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি ও তফসিল ঘোষণা সহ মনোনয়ন যাচাই বাছাই সহ সকল কাজ করা হয়েছে। ফাইনালে পরবর্তীতে প্রতিপক্ষ না থাকায় কমিটি গঠন করা হয়েছে। সকল নিয়মকানুন মেনেই সকল কার্যক্রম হয়েছে এমনটাই দাবি করেন প্রিজাইডিং অফিসার সুখেন কুমার পাল। এদিকে স্কুলের ভোটাররা বলছেন প্রিজাইডিং অফিসার ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কার চুপিতেই নির্বাচন বাণিজ্য করেছে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইটিং অফিসার সুখেন কুমার পাল । এই স্কুলের পুনরায় সুন্দরভাবে নির্বাচনের দাবি করেন এলাকার সাধারণ মানুষ ও স্কুলের ভোটাররা।