ডন ডেস্ক:-
বহুল আলোচিত কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালির মাছ ব্যবসায়ী নান্নু মাতব্বর’কে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যাকান্ডের চাঞ্চল্যকর ঘটনায় জড়িত অন্যতম প্রধান ০৩ আসামী গ্রেফতার, মাছ ব্যবসায়ী মো. আমিরুল ইসলাম নান্নু (৫২), পিতা-মৃত আব্দুল জলিল, সাং-উত্তর চাঁদপুর, থানা-কুমারখালী, জেলা-কুষ্টিয়া গত ১৩ মার্চ ২০২৪ তারিখ ইফতার শেষ করে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল যোগে কেশবপুরে তাঁর ইজারা নেওয়া পুকুরের মাছ পাহারা দেওয়ার জন্য যাচ্ছিলেন। আনুমানিক ১৯৩০ ঘটিকার সময় কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানাধীন উত্তর চাঁদপুর এলাকায় পৌছালে সামাজিক দলাদলি ও পূর্ব শত্রু তার জের ধরে তাঁর মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে জোর করে পাশের একটি কলাবাগানে নিয়ে দুর্বৃত্তরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে সেখানে তাকে পিটিয়ে ও ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর ভিমটিমকে ভুট্টা ক্ষেতের মধ্যে ফেলে আসামিরা পালিয়ে যায়। উক্ত হত্যার ঘটনাটি ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। উক্ত হত্যাকান্ডের প্রেক্ষিতে নিহতের ভাই বাদী হয়ে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-১৫, তারিখ ১৪ মার্চ ২০২৪, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০। হত্যাকান্ডের পর হতেই হত্যাকারীরা আত্মগোপনে চলে যায়। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় মো. মারুফ হোসেন বিপিএম পিপিএম, অধিনায়ক র্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ এর দিক নির্দেশনায় গত ২০ মার্চ ২০২৪ খ্রিঃ রাত ১১.৫৫ ঘটিকায় র্যাব-১২’র সিপিসি-১, কুষ্টিয়া এবং র্যাব-৩, সিপিসি-৩ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল র্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখার সহযোগীতায় ‘‘ঢাকা জেলার খিলগাঁও এলাকায়” একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত হত্যাকান্ডে জড়িত এজাহার নামীয় পলাতক আসামি ১) মো. সবুজ (৪৩), পিতা-মো. আতাহার আলী, ২) মো. বাবু (২৫), পিতা-মো. হেলাল উদ্দিন এবং ৩) মো. সুমন (৪২), পিতা-মো. আতাহার আলী, সর্ব সাং-উত্তর চাঁদপুর, থানা-কুমারখালী, জেলা-কুষ্টিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও আসামি মো. সবুজ ও মো. সুমন এর নামে হত্যার চেষ্টা মামলা সহ আরো দুইটি করে মামলা রয়েছে। পরবর্তীতে ধৃত আসামিদেরকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা শাখায় হস্তান্তর করা হয়েছে।