কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:-
কুষ্টিয়ায় প্রকাশ্যে সিগারেট খেতে নিষেধ করায় শামীম হোসেন নামে এক কলেজ শিক্ষক ও তার স্বজনদের ছুরিকাঘাত করার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও ওই শিক্ষকের বাড়িঘর ভাংচুর চালানো হয়েছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের ফারাজীপাড়ায় এঘটনা ঘটে।
ছুরিকাঘাতের শিকার শামীম হোসেন তিনি কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার হালসা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ও তার বড় ভাই শাহীন বিশ্বাস।
আহতদের রাতেই কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখন তারা সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ফারাজী পাড়া জামে মসজিদের পাশে একটি দোকানে এলাকার কয়েকজন যুবক সিগারেট খাচ্ছিল। এমন সময় ওই কলেজ শিক্ষক শামীম হোসেন তাদের সিগারেট খেতে নিষেধ করলে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এ পযার্য়ে এলাকার যুবক জয়, প্রান্ত, প্রান্থ, জিসান, সাফায়েত, রাব্বি, হাবিবুর রহমান হ্যাপি সহ তারা
সংগঠিত হয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কলেজ শিক্ষক শামীম ও তার ভাই শাহীন বিশ্বাসকে ছুরিকাঘাত ও মারধর করে। এছাড়াও ওই কলেজ শিক্ষকের বাড়ি ঘর ভাংচুর চালিয়ে পালিয়ে যায় তারা। পরে স্থানীয় লোকজন শামীম ও তার ভাই শাহীন বিশ্বাসকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এঘটনায় রাতেই ওই কলেজ শিক্ষক শামীম হোসেন কুষ্টিয়া মডেল থানায় বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করলে এ মামলার ২জন আসামিকে পুলিশ রাতেই গ্রেফতার করে। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সোহেল রানা বলেন, এ মামলার ২জন আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।