ডন ডেস্ক:-
শনিবার (২৭ এপ্রিল ২০২৪) সকাল ১১টায় হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. খাইরুল আলম এর নির্দেশনা মোতাবেক হোয়াইক্যং হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ ইন্সপেক্টর কাইয়ুম উদ্দিন চৌধুরী ও সংগীয় ফোর্সসহ কক্সবাজার – টেকনাফ আঞ্চলিক মহাসড়কের টেকনাফ থানাধীন নয়াপাড়া নামক স্থানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চেক পোস্ট করা কালীন টেকনাফ কক্সবাজার মুখি পায়রা সার্ভিস এর একটি যাত্রীবাহী বাস (রেজিঃ নং- কক্সবাজার-জ-১১-০২৪৮) থামিয়ে তল্লাশি করা হয়। তল্লাশির এক পর্যায়ে যাত্রীর আসনে থাকা দুজন যুবকের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় উপস্থিত স্বাক্ষিদের উপস্তিতিতে দেহ তল্লাশি করে কেফায়েত উল্লাহ নামক রোহিঙ্গা যুবক এর কোমড়ে বাঁধা অবস্থায় একটি কালো রংয়ের ব্যাগ (প্রসেস) পেয়ে তা স্বাক্ষিদের সামনে খুলে তার ভিতর একটি কাগজের গুলির প্যাকেট এর মধ্যে ১৭ (সতের) রাউন্ড জি থ্রি রাইফেল এর বুলেট পেয়ে তা জব্ধ তালিকা মূলে জব্ধ করা হয়। অবৈধ বুলেট নিজ হেফাজতে রাখার দায়ে উক্ত যাত্রী ও তার সহযাত্রী আনোয়ার মোস্তফাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী দুইজন মায়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক। জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা তাদের নাম যথাক্রমে ১। কেফায়েত উল্লাহ (১৯), পিতা- মো. ইসলাম , মাতা- সাজেদা বেগম, সাং- ব্লক-ই-৩১৪, ক্যাম্প-০৭, কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প, থানা- উখিয়া, জেলা- কক্সবাজার ২। আনোয়ার মোস্তফা (১৮), পিতা- আব্দুস সালাম, মাতা- আরজু মেহের, সাং- ক্লাষ্টার-৬৫, রুম নং- জে-১২৩, ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্প, থানা- হাতিয়া, জেলা- নোয়াখালী মর্মে জানায়। আসামীদ্বয় পরষ্পর যোগসাজশে মায়ানমার হতে উক্ত বুলেট কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প এর উদ্দেশ্যে বহন করছিল মর্মে স্বীকার করে। আসামীরা আরো জানায় গত ১৯ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে তারা দালালের মাধ্যমে মায়ানমার এর মংডু জেলায় মায়ানমার সেনাবাহিনীর বুচিডং ক্যাম্পে যায়। সেখানে মায়ানমার সেনাবাহিনী তাদেরকে G3 রাইফেল চালানোর প্রশিক্ষণ দেয় মর্মে প্রাথমিকভাবে হাইওয়ে পুলিশের কাছে স্বীকার করেন। সেনাবাহিনীর পক্ষে বিদ্রোহীদের সাথে যুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে এই প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। মায়ানমার সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে ৭ দিন থাকার পর অতিরিক্ত গরম ও খাদ্য কষ্টে সেখান থেকে অদ্য মায়ানমার সীমান্ত পার হয়ে পুনরায় বাংলাদেশে পালিয়ে আসে বলে হাইওয়ে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়। এ ব্যাপারে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানায় অস্ত্র আইনে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন আছে।