নিউজ ডেস্ক:-
কুষ্টিয়ার খাজানগর এলাকায় বিদ্যুতের খাম্বায় উঠে কাজ করার সময় বিদ্যুতের তারে জরিয়ে বিদ্যুৎ পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন একই এলাকার মোঃ শহিদুল্লাহর ছেলে ইলেকট্রিক মিস্ত্রি জামাল হোসেন। এঘটনায় তাকে বাচাতে গিয়ে আহত হন লিটন নামের আরেক জন।স্থানীয়রা তাদের দ্রুত উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে জামালের উন্নত চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য রাতেই ঢাকা নেওয়া হয় এবং ঢাকা মেডিকেলের শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের লোকজন। এদিকে কুষ্টিয়ার বিদ্যুতের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা এই খাজানগর কেননা এখানে অবস্থিত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চাউলের মোকাম,এখানে রয়েছে ছোট বড় অনেক রাইস মিল।এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যুৎ ব্যবহৃত এলাকায় এ ধরনের ঘটনা খুবই বিপদজনক। খোজ নিয়ে জানা যায় স্থানীয় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি জামল হোসেন কুষ্টিয়া বিদ্যুৎ বিভাগে কর্মরত কোন কর্মী নন,কিন্তু তারপরও তিনি কি ভাবে সরকারি পোলে উঠে কাজ করেন এ প্রশ্ন থেকেই যায়,আরো জানা যায়, উক্ত এলাকায় বিদ্যুতের লাইনের কাজ চলছিল ঠিকাদারের মাধ্যমে,আর কাজটি দেখার দায়িত্ব ছিলো সাব- এসিস্টেন্ট ইন্জিয়ার আনোয়ার হোসেনের উপর।এ ঘটনা সম্পর্কে তার কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন,আমি কাজ শেষ করে সামনে আসতেই ঘটনাটি ঘটে,সে কিভাবে উঠেছে আমি জানি না,এর দায়ভার কার এমন প্রশ্নের জবাব তিনি এড়িয়ে যান।এলাকা বাসীর সাথে কথা বলে জানা গেলো, জামাল হোসেন প্রায় এখানে কাজ করতেন,তাকে এখানে কর্মরত বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন কাজে লাগাতো কেননা সরকারি লোকের অনুমতি ছাড়া কেউ সরকারি পোলে উঠতে পারে না,জামাল হোসেন এ দিন বিদ্যুতের খাম্বায় কাজ করার সময় কোনো ধরনের নিরাপত্তা পোশাক, গ্লাভস, জুতা কোনো কিছুই পরিধান করেন নি। জামাল হোসেনের ঘটনার দায়ভার কার!!