সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
কুষ্টিয়া শিলাইদহ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ডিগ্রী কলেজ সরকারি করনের দাবি কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলার আসামী ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কারাগারে ভূমিদস্যুরাই এখন বিচারহীন অপরাধী দুই এএসআই হত্যা: আসামি ধরতে গিয়ে ফের পুলিশের ওপর হামলা কুষ্টিয়ায় নিজের গলাই ছুরি চালিয়ে বৃদ্ধার আত্মহত্যা কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বাবা-মা ও মেয়ের মৃত্যু চোখের পানি ধরে রাখতে পারছি না বুক ফেটে যাচ্ছে ফায়ার ফাইটার মেহেদী আজাদ ডুবুরি না হয়েও জিবনের ঝুঁকি নিয়ে পানির নিচ থেকে লাশ উদ্ধার করে আগামীকাল থেকে ৩দিন ব্যাপী লালন স্মরণোৎসব শুরু কুষ্টিয়ার ঝাউদিয়ায় দুই গ্রুপের ব্যাপক গোলাগুলি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বজ্রপাতে নারীসহ চারজনের মৃত্যু

বাড়িতে ডেকে ধর্ষণের পর হত্যা: দেড় বছর পর পুলিশের ফাঁদে প্রেমিক

Reporter Name / ৫১৬ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৮ মে, ২০২১, ৭:১৭ অপরাহ্ন

ডন ডেস্ক :-

কক্সবাজারের পেকুয়ায় ছাত্রীর সঙ্গে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ধর্ষণের পর হত্যা করে প্রেমিকাকে। দেখা করার নামে নিজের বাড়িতে ডেকে ধর্ষণ শেষে নির্মম হত্যার ঘটনার দেড় বছর ঘাতক প্রেমিক কলেজছাত্র ওমর ফারুক ও তার সহযোগী এখন সিআইডি পুলিশের হাতে আটক।শুক্রবার (২৮ মে) সন্ধ্যায় এমন চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন সিআইডি কক্সবাজার ব্রাঞ্চের বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফয়সাল আহম্মেদ।এ ঘটনায় দেড় বছর পর মূল হোতা পেকুয়ার মগনামা এলাকার আনোয়ার হোছাইনের ছেলে ওমর ফারুক (২৩) সিলেট থেকে ও তার সহযোগী মোহাম্মদ ইলিয়াসকে পেকুয়া থেকে আটকের পর ঘটনার মূল রহস্য জানতে পারে সিআইডি কক্সবাজার। সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি পুলিশ সুপার জানান, ‘পেকুয়ার মগনামা ফতেআলী পাড়া এলাকার জামাল উদ্দিনের মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকা (১৬) ওই এলাকার শাহা রশিদিয়া আলীম মাদরাসার নবম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। তার প্রাইভেট শিক্ষক ছিল সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্র ওমর ফারুক। দীর্ঘদিন পড়ানোর সুবাধে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তারা উভয় দুঃসম্পর্কের খালাতো ভাই-বোন ছিল।তাদের প্রেমের সম্পর্কের কথা উভয়ের পরিবার জেনে যায়। ২০১৯ সালের ২১ নভেম্বর প্রেমিকা আয়েশাকে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ওমর ফারুক। পরে আয়েশা বিয়ের চাপ দিয়ে নিজের বাড়িতে ফিরে যেতে না চাইলে তাকে গলা টিপে হত্যা করে প্রেমিক ফারুক।পরে ঘটনা আড়াল করতে লাশ ডোবায় ফেলে পালিয়ে যায় ঘাতক ওমর ফারুক ও তার সহযোগী (ফুফাতো বোনের স্বামী) মোহাম্মদ ইলিয়াস। এরপর ওই বছরের ২২ নভেম্বর ডোবা থেকে লাশ উদ্ধার করে মামলা দায়ের করে আয়েশার বাবা জামাল উদ্দিন। ওই মামলায় ওমর ফারুকসহ চারজনকে আসামি করা হয়। অন্যান্য আসামিরা হলেন- ফারুকের চাচা কামাল হোসেন, চাচি হালিমা বেগম ও রোকেয়া বেগম। মামলাটি দায়িত্বভার নেওয়ার পর গেল ২৬ মে মূল আসামি ফারুককে গোলাপগঞ্জ থানাধীন ফুলবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করার পর ২৮ মে তার সহযোগী মোহাম্মদ ইলিয়াসকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘থানা পুলিশ মামলার আসামি হালিমা বেগম ও রোকেয়া বেগমকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার বিষয়ে কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মতে জবানবন্দি প্রদান করলেও মূল আসামি নিজেকে আত্মগোপনে রাখে। এ ঘটনাটি আড়ালেই ছিল দেড় বছর। দীর্ঘ চেষ্টায় এই দুই আসামিকে আটকের পর আরো অনেক তথ্য পেয়েছে সিআইডি। তারপর সিআইডি ঘটনার সঠিক তথ্য উন্মোচন করল।
ধৃত আসামিরা ঘটনায় জড়িত আরো আসামির নাম প্রকাশ করেছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে উক্ত আসামিদের নাম ঠিকানা প্রকাশ করতে চাননি সিআইডির পুলিশ সুপার ফায়সাল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর ....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর