মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
কুষ্টিয়া শিলাইদহ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ডিগ্রী কলেজ সরকারি করনের দাবি কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলার আসামী ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কারাগারে ভূমিদস্যুরাই এখন বিচারহীন অপরাধী দুই এএসআই হত্যা: আসামি ধরতে গিয়ে ফের পুলিশের ওপর হামলা কুষ্টিয়ায় নিজের গলাই ছুরি চালিয়ে বৃদ্ধার আত্মহত্যা কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বাবা-মা ও মেয়ের মৃত্যু চোখের পানি ধরে রাখতে পারছি না বুক ফেটে যাচ্ছে ফায়ার ফাইটার মেহেদী আজাদ ডুবুরি না হয়েও জিবনের ঝুঁকি নিয়ে পানির নিচ থেকে লাশ উদ্ধার করে আগামীকাল থেকে ৩দিন ব্যাপী লালন স্মরণোৎসব শুরু কুষ্টিয়ার ঝাউদিয়ায় দুই গ্রুপের ব্যাপক গোলাগুলি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বজ্রপাতে নারীসহ চারজনের মৃত্যু

কুষ্টিয়া চিনিকলের সেই সাবেক এমডির পদাবনতি! দুর্নীতির অভিযোগে শাস্তি হিসেবে তাকে ৩য় গ্রেড থেকে ৪র্থ গ্রেডে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে

Reporter Name / ৫২৪ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম : বুধবার, ৯ জুন, ২০২১, ৪:৫৪ অপরাহ্ন

ডন ডেস্ক :-

সিবিএ নেতাদের সঙ্গে যোগসাজশে আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ায় কুষ্টিয়া চিনিকলের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) গোলাম সারওয়ার মুর্শেদের পদাবনতি হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে এ শাস্তি দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া চিনিকলের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাকিবুর রহমান খান। তাকে তৃতীয় গ্রেড থেকে চতুর্থ গ্রেডে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি প্রধান কার্যালয়ের প্রধান সিপিই পদে কর্মরত রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প সংস্থার চেয়ারম্যান অতিরিক্ত সচিব আরিফুর রহমান অপু স্বাক্ষরিত এক আদেশে উল্লেখ করা হয়। কুষ্টিয়া চিনিকলের অভিযুক্ত সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম সারওয়ার মুর্শেদকে ২০২০ সালের নভেম্বরে প্রধান কার্যালয়ের প্রধান সিপিই পদে বদলি করা হয়েছিল। দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে পরে সাময়িক বরখাস্তও করা হয়। তিনি বর্তমান পদ থেকে ২৫ জুন অবসর গ্রহণ করবেন। শাস্তি হিসেবে তাকে ৩য় গ্রেড থেকে ৪র্থ গ্রেডে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে তিনি অবসরকালীন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে ওই আদেশে উল্লেখ করা হয়। চিনিকল সূত্রে জানা গেছে, দুর্নীতিবাজ গোলাম সারওয়ারের বিরুদ্ধে চিনিকলের গ্র্যাচুইটি ও মালামাল সরবরাহকারীর বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিধিবহির্ভূতভাবে রেজুলেশন করে ৪ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র ভাঙানো, চিনিকলের অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড, নিয়ম ভেঙে পিএফ ফান্ডের সদস্যদের মুনাফার টাকা চিনি ব্যবসায়ীদের প্রদান, মিলের অবসরপ্রাপ্তদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ প্রদানকালে ১৩ শতাংশ হারে ঘুষ আদায়সহ আরও কিছু অপরাধ প্রমাণিত হয়।
কয়েক মাস আগে কুষ্টিয়া সুগার মিলের দুর্নীতি নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশ হলে দুদকের একটি দল মিলে অভিযান চালিয়ে সিবিএ সভাপতি ফারুক হোসেনকে আটক করে। এ সময় বাকিরা গা ঢাকা দেয়।এদিকে করপোরেশনের চিফ অব পার্সোনাল মো. রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত আদেশে গুরুতর অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত মিলের সিবিএ সভাপতি ফারুক হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চলমান বিভাগীয় মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করার কথা বলা হয়েছে। বিষয়টি করপোরেশনের চেয়ারম্যানকে অবহিত করার জন্য মিলের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়। অনুসন্ধানে জানা যায়, কুষ্টিয়া চিনিকল দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির কারণে একেবারেই ধ্বংসের মুখে পড়ে। ২০২০ সালে অক্টোবরের প্রথমদিকে মিলের বিক্রির লসের টাকা সমন্বয়ের নামে শ্রমিক ও কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের ৪৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়।
এছাড়া মিলের ৬০ টাকা কেজি দরে প্রায় ৩ কোটি টাকার চিনি ফ্রি সেলে ৫২ টাকা কেজি দরে বিক্রয় করা হয়। এতে বিপুল পরিমাণ ক্ষতির মুখে পড়ে কুষ্টিয়া সুগার মিল। লোকসানের ওই টাকা সমন্বয়ের নামে মিলের শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের ও বেতন থেকে টাকা কর্তন করে নিজেরা ভাগবাঁটোয়ারা করে নেয়। আরও জানা যায়, ২০১৬ সালে মিলের স্থায়ী শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের ৫ কোটি টাকা ৫ বছর মেয়াদি জাতীয় সঞ্চয়পত্র কেনা হয়। একই দিনে মৌসুমি শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের ৫০ লাখ টাকার একই সঞ্চয়পত্র কেনা হয়। ২০১৮ সালে স্থায়ী শ্রমিকদের ৫ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্রের মধ্যে ১ কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়। কিন্তু ১ কোটি টাকার কোনো লভ্যাংশ না দিয়ে নিজেরা ভাগ করে নেয়। কুষ্টিয়া চিনিকলের প্রভিডেন্ট ফান্ড দুর্নীতির সঙ্গে মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সিবিএ সভাপতি ফারুক হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান, সহসভাপতি সুমন আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক তারিক হাসান সাগর ও নির্বাহী সদস্য আবুল কাশেমের জড়িত থাকার সম্পৃক্ততা পেয়েছে তদন্ত কমিটি।
বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে কুষ্টিয়া চিনিকলের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাকিবুর রহমান খান বলেন, প্রধান দফতরের আদেশের কপি আমরা হাতে পেয়েছি। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। খুব দ্রুত মিলের দোষী শ্রমিক ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তি দেওয়া হবে। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য কুষ্টিয়া চিনিকলের অভিযুক্ত সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম সারওয়ার মুর্শেদের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর ....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর